প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২৬ এর লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে বিজেপি। তাদের একটাই লক্ষ্য, এবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করা। আর তার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিও নিতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপি খুব ভালো করেই জানে, সমাজে যুবরা এগিয়ে নিয়ে না এলে কোথাও পরিবর্তন ঘটানো যাবে না। তাই তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এই যুবদের মধ্যে জাগরন যে জরুরী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই কারণেই আজ যখন মুর্শিদাবাদের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে অনেকেই মাতামাতি করছেন, যখন খবরের চ্যানেলগুলো বেশিরভাগ সেই বিষয় নিয়েই চর্চা করছেন, মিনিটে মিনিটে দেখাচ্ছেন যে, হুমায়ুন কবীর কি করছেন, না করছেন, তখন সেই দিকে নজর না দিয়ে জনসংযোগের ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার বেছে নিলো পদ্ম শিবির।

বিগত দুই তিন দিন ধরে হুমায়ুন কবীরকে নিয়েই মাতামাতি করছেন অনেকে। তাকে তৃণমূল দল সাসপেন্ড করেছে। তারপরেও তিনি বাবরি মসজিদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। এই সমস্ত খবরই বারবার করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তবে গতকালই শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মমতা ব্যানার্জির মুখ আর মুখোশ আলাদা। হুমায়ুন কবীরকে যে নাটক করে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং হিন্দু ভোটকে কাটার জন্যই যে এই কাজ করেছে তৃণমূল, সেই ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর আজ যখন দিনভর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সেই হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের বিষয়টি দেখানো হচ্ছে, তখন নিজেদের লক্ষ্যে অটুট থেকে একটি ফুটবল কাপে অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ পুরশুড়ায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটি এমএলএ কাপের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই অনুষ্ঠানে যুবদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি এখন পরিবর্তন সংকল্প যাত্রার পাশাপাশি বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে জনজাগরণ ঘটাতে এই ফুটবল কাপের মত কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে। যার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা। তাই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হচ্ছে, এসব নিয়ে মাতামাতি করা কিছু মানুষের কাজ হতে পারে। কিন্তু বিজেপি যে এদিকে মোটেই মনোযোগী নয়, তারা যে সমাজ গঠনের কাছে তৎপর এবং তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়েই যে কাজ করবে গেরুয়া শিবির, তা আজ বিজেপির এই এমএলএ কাপ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এবং সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।