প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরে প্রাথমিক পর্ব শুরু হতেই অনেকেই হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। তবে প্রথম দিন থেকেই শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন। তিনি বারবার করে যে মহল থেকে যে প্রশ্নই আসুক না কেন, তিনি একটা বিষয় প্রতিনিয়ত দাবি করে আসছিলেন যে, এক কোটির কাছাকাছি নাম বাদ যাবে। তবে তৃণমূল অবশ্য এই বিষয়ে খোঁচা দিয়ে বলেছিল যে, শুভেন্দু অধিকারী কি করে বলে দিচ্ছেন যে, এতগুলো নাম বাদ যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের রাজনীতি করার একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তিনি বুঝতে পারছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এতদিন ধরে যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ছিলো, এসআইআর হলে তাদের নাম বাদ যাবে। পাশাপাশি মৃত ভোটার থেকে শুরু করে ডবল এন্ট্রি, ত্রিপল এন্ট্রি ভোটারদের নাম এতদিন ভোটার তালিকায় রেখে দিয়েছিল এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এসআইআরের ফলে সেই নামগুলো বাদ গেলে সংখ্যাটা যে প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াবে, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করার শেষ দিন। আর হাওড়ার সভা থেকে প্রাথমিকভাবে এসআইআরে ৬০ লক্ষের কাছাকাছি নাম বাদ যেতেই আরও চাঙ্গা হয়ে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ এসআইআর হবে না। তবে ৮০ শতাংশ এসআইআর হলেই যে তৃণমূলের খেলা শেষ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। এক্ষেত্রে ১ কোটির কাছাকাছি নাম বাদ যাবে বলে প্রতিনিয়ত দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ লক্ষের কাছাকাছি নাম বাদ গিয়েছে। এবার শুনানি রয়েছে। আর সেই শুনানিতেও অনেক অবৈধ নাম যেভাবে ঢোকানো হয়েছে, তাতে অনেকের নাম বাদ যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তিনি যে সংখ্যাটা প্রথম থেকে বলে আসছেন, এবার সেটাই যে বাস্তব হতে চলেছে, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন হাওড়ার আমতায় পরিবর্তন সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “শুরুতেই বলেছিলাম, ১ কোটি পেরিয়ে যাওয়া উচিত। আমাকে কেউ বলেনি। আমি এমএলএ, এমপি, কাউন্সিলর, আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলাম। আজকে প্রমাণ হচ্ছে, প্রথম রাউন্ডেই ৬০ লক্ষ বাদ।” আর তারপরেই বিহারের কথা তুলে ধরে এবার যে তাদের টার্গেট বাংলা, তা স্পষ্ট করে দেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিহারে জয় ২০২। ছক্কা। ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। ঝড় তুলুন আপনারা। বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসআইআর পর্ব যদি ঠিকমত হয়, তাহলে অনেক অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর এতদিন এই সমস্ত অবৈধ ভোটারদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল ভোট বৈতরনী পার হয়েছে বলেই দাবি করে বিজেপি। তাই সংখ্যাটা ১ কোটির কাছাকাছি যেতে চলেছে, আর তা হলে যে রাজ্যে পরিবর্তন একপ্রকার নিশ্চিত, তা উপলব্ধি করেই এদিনের সভায় আরও উজ্জীবিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।