প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি নাগরাকাটায় যেভাবে ত্রান দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির এক সাংসদ এবং বিধায়ক, সেই ঘটনা নিয়ে রীতিমত তেড়েফুড়ে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। গতকাল নাগরাকাটায় প্রতিবাদ সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা থেকেই জলপাইগুড়ির এসপিকে রীতিমত কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন তিনি। যেভাবে একজন আদিবাসী সাংসদকে রক্তাক্ত করা হয়েছে এবং যেভাবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সামনে আসছে, তাতে আগামী দিনে জলপাইগুড়ির এসপিকে দিল্লিতে তলবের মুখে পড়তে হবে বলেও বুঝিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে যেভাবে রক্তাক্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন লোকসভা লোকসভার স্পিকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই গতকাল নাগরাকাটার সভা থেকে জলপাইগুড়ির এসপিকে ব্যাগ গুছিয়ে রাখার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি একজন সাংসদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে এবং তারপর যেভাবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সামনে এসেছে, তাতে জলপাইগুড়ির এসপিকে দিল্লিতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন নাগরাকাটার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতবর্ষের লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, তিনি মুখ্যসচিবকে বলছেন, রিপোর্ট পাঠাও। আমি বলে রাখলাম, এসপি জলপাইগুড়ি, ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। দিল্লি যেতে হবে। প্রিভিলেজ কমিটি ডাকবে। আপনাকে যেতে হবে। বসার চেয়ারও পাবেন না। চা তো দূরের কথা, জলও দেবে না।” অর্থাৎ নাগরাকাটায় যেভাবে বিজেপি সাংসদকে রক্তাক্ত করা হয়েছে, সেই ঘটনায় যেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে লোকসভা, তাতে এখানকার পুলিশ প্রশাসনও যে যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রীতিমত প্রশাসনের মধ্যেও কম্পন ধরিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।