প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যে অবৈধ বালি পাচার চক্রের একটা গভীর দুর্নীতি যে হয়েছে এবং সেই দুর্নীতির যে তদন্ত হচ্ছে, তাতে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তারা সৌরভ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল। যেখানে বিপুল অংকের টাকার হদিশ পেয়েছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই সেই সৌরভ রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের একটা ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন। এমনকি এই বালি পাচার চক্রের দুর্নীতির বিস্তৃতি একেবারে ভাইপো পর্যন্ত রয়েছে বলেই কটাক্ষ করছেন তিনি। আর তার মধ্যেই এবার রাজ্যের এক হেভিওয়েট পুলিশ কর্তা সম্পর্কে মন্তব্য করে প্রশাসনের ঘুম উড়িয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে রয়েছে প্রশাসন। আর তার মধ্যেই বালি পাচার চক্রের তদন্ত করতে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে সমস্ত তথ্য পেয়েছে, তাতে বিরোধীরা সরকারকে চেপে ধরতে শুরু করেছে। সৌরভ রায়ের মত ব্যক্তির বাড়ি থেকে যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে চমকে উঠছে রাজ্যবাসী। আর এবার সেই সৌরভ রায়ের সঙ্গেই পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি যে কথা বললেন, তার ফলে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিন বালি পাচার চক্র আটকাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেনহ “পুলিশের মধ্যে তো শোকসভা চলছে। এই সৌরভ রায়ের ফরচুনা, বিএমডব্লিউ গাড়িতে তো পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি চড়তেন।” অর্থাৎ কতটা ঘনিষ্ঠতা এই বালি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের এক শীর্ষকতার ছিল, তা ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার এই তদন্তের গতি অন্য কোনো দিকে মোড় নিতে পারে? শুভেন্দুবাবু যেভাবে এক পুলিশকর্তার নাম সামনে আনলেন, তাতে কি আরো বড় কোনো রহস্য উদঘাটন হয়ে যেতে পারে এই অবৈধ বালি পাচার চক্রের তদন্তের ক্ষেত্রে? তবে ঘটনা যাই ঘটে থাকুক না কেন, শুভেন্দু বাবু যে কথা বলে দিলেন, তার ফলে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।