প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বাংলায় টলি জগতের ক্ষেত্রে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীর নাম আগে শোনা গেলেও, ইদানিংকালে তৃণমূল সরকারে আসার পর রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তার ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের নাম খুব বেশি করে শোনা যাচ্ছে। বিরোধীরা অভিযোগ করে বলে, এই দুই দাদা ভাইয়ের কাছে তদবির না করলে ইন্ডাস্ট্রি ঠিকমত চলবে না। কারণ তাদের হাতেই এখানকার চাবিকাঠি রয়েছে। আর তারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলা সিনেমাকে শেষ করে দিচ্ছেন। আর বিরোধীদের সেই সমস্ত অভিযোগের মধ্যেই বেটিং অ্যাপ মামলায় মিমি চক্রবর্তীর দিল্লিতে হাজিরা দেওয়া এবং তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তার ভাই সরূপ বিশ্বাসকে মধুকৈটভ বলে আখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবুর অভিযোগ, এরাই বাংলা সিনেমা জগতকে একেবারে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
সুকান্তবাবুর এই অভিযোগের পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। তিনি সেটা আগে ব্যাখ্যা করেছেন। আর তারপরেই সরাসরি রাজ্যের মন্ত্রী এবং তার ভাইয়ের নাম করে তিনি কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকরা মিমি চক্রবর্তীর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব এবং সেখানে তার পৌঁছে যাওয়া নিয়ে এদিন সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করেন। সাংবাদিকরা এটাও বলেন যে, হাওয়ালার টাকা ঢুকেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে টলিউড বলে যাকে আমরা চিনি, এই টলিউডের মাধ্যমে যে কালো টাকাকে সাদা করা হয়, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এমনকি এই ব্যাপারে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে, এটা আপনারা ভালো জানেন। এমনিতেই বাংলা সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে অরূপ এবং স্বরূপ, এই মধুকৈটভ মিলে শেষ করে ফেলেছে। পুরো গিলে ফেলেছে।”
বিজেপির দাবি, এক সময় বাংলা সিনেমার একটা আভিজাত্য ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের আসার পর এখানেও তারা থাবা বসিয়েছে। কিভাবে সিনেমা চলবে, কিভাবে সিন্ডিকেট চলবে, কিভাবে ইন্ডাস্ট্রি চলবে, তার সবকিছুই তাদের কথামত পরিচালিত হয়। যার ফলে ক্রমাগত বাংলা সিনেমা তার অলংকার হারাচ্ছে। তৃণমূলের মন্ত্রী এবং তার ভাইয়ের মাতব্বরির ফলে কেউ সেখানে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাই যথাযথভাবেই সুকান্ত বাবু মধুকৈটভ বলে খুব একটা খারাপ শব্দ ব্যবহার করেননি। এককালে মহালয়ার সময় এই শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। দুই অসুর, তাদের দাপটের কথা পুরানে বর্ণিত আছে। আর বাংলার সিনেমা জগত, যেটা সকলের কাছেই গর্বের বিষয় ছিল, সেটাকে আজ শেষ করে দেওয়ার জন্য আরও দুই মধুকৈটভ দায়িত্ব নিয়ে সর্বনাশ করছেন বলেই খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা।