প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মধ্যে মধুরতার সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা হলেও, বাংলাদেশ কোনোমতেই সেই পথে হাঁটছে না। ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় সেই দাবি উঠেছে। এমনকি সাম্প্রতিক কালে ভারতের আবেগে আঘাত দিয়ে বাংলাদেশের ইউনুস প্রশাসন সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে বলে খবর সামনে এসেছিল। যে ঘটনা সামনে আসার পরেই রীতিমত ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এবার চরম শিক্ষা দেওয়া হোক, এমনটা দাবি করা হয়। আর সেসবের মধ্যেই এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি ভাঙ্গা নিয়ে বড় আপডেট দিলো বাংলাদেশ প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, এদিন বাংলাদেশের ইউনুস প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। আর সেখানেই সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভাঙ্গা নিয়ে যে সমস্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ সরকার। যে বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে, সেই বাড়ির নথিপত্র খুঁটিয়ে যতটা দেখা হয়েছে, তাতে রায় পরিবারের সঙ্গে সেই বাড়ির কোনো সংযোগ নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ময়মন সিংহের ডেপুটি কমিশনার মুফিদুল আলম। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ময়মনসিংহের ডেপুটি কমিশনার মফিদুল আলম। সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে বলে যে বিষয়ে সামনে এসেছে, তা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ময়মনসিংহের ডেপুটি কমিশনার বলেন, “বুধবার বাড়িটি নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে। সমস্ত সরকারি নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলি, ঐতিহাসিক নথিপত্র খতিয়ে দেখি। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই বাড়িটি আসলে ময়মনসিংহ চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমির। রায় পরিবারের সঙ্গে ওই বাড়ির কোনো যোগসূত্র মেলেনি। রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে বাড়িটি। বাড়িটি সত্যজিৎ রায় বা তার পূর্বপুরুষের নয়। এখানে তারা কখনও ছিলেন না।”
তবে ময়মনসিংহের ডেপুটি কমিশনার বা বলা ভালো বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইরকম সাফাই দেওয়া হলেও, ভেতরের গল্প কি রয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। সত্যিই কি তাহলে যে বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি বলে সেখানে ভাঙ্গা হচ্ছে বলে দেখানো হয়েছিল, সেটা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা? বাংলাদেশ প্রশাসন যে কথা জানিয়ে দিলো, তাতে কি প্রতিক্রিয়া আসবে ভারতের পক্ষ থেকে? বিতর্কের মাঝে পড়েই কি সুর বদলে দিলো বাংলাদেশ প্রশাসন, নাকি সত্যিই যাকে সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি বলে দাবি করা হচ্ছিল, তার সঙ্গে আদতেই রায় পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।