প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে আবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে. যেখানে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন করার পর তাকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই দৃশ্য দেখার পর রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা। মাঝেমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি চলছে, যদি তৃণমূলকে না সরানো যায়, তাহলে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গেও এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে তৃণমূল সরকার হিন্দুদের রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলে সোচ্চার হন তিনি। আর এবার বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ভয়ংকর তান্ডব শুরু হয়েছে। কিছু মৌলবাদীরা যে আগ্রাসন শুরু করেছেন, যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে, যেভাবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে লুটপাট চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে রীতিমত সোচ্চার হচ্ছে গোটা ভারতবর্ষ। ওপারে থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা কতটা বিপদের মুখে রয়েছেন, তা বুঝতে পেরে এপারের হিন্দুরা রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। আর তার মধ্যেই এবার গোটা বিষয়ে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন আদালতের নির্দেশে হাসনাবাদে একটি মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ যদি বাংলাদেশ না চায়, তাহলে আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রবাদী শক্তি জোট বেঁধে ভারতীয় জনতা পার্টিকে আনতে হবে। দেশের মূল ধারার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে যুক্ত করতে হবে।” অর্থাৎ ওপার বাংলায় যেভাবে হিন্দুদের ওপর ধ্বংসলীলা চালানো হচ্ছে, তা এপার বাংলাতেও পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তাই তৃণমূলকে না সরালে বাংলাদেশের মত পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেও হতে পারে বলে বুঝিয়ে দিয়ে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।