প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে হিন্দু সনাতনীরা সুরক্ষিত নয়। মহেশতলা থেকে শুরু করে মালদহ, মুর্শিদাবাদের একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদে তেমনটাই কথা শোনা গেছে বিরোধী নেতাদের গলায়। মাঝেমধ্যেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। তার মুখে এটাও শোনা গিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ করার চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার। আর ওপারে মহম্মদ ইউনুস যা করছে, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তা করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রাজ্যের বুকেই দুর্গাপুজোর আগে জেহাদীদের পক্ষ থেকে মা কালীর মূর্তি শহর চারটি মূর্তি ভেঙে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে ভিডিও দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছে রাজ্যবাসী।

আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভয়ংকর ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে ভিডিও সামনে আসার পরেই রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েছেন হিন্দু সনাতনীরা। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, মা কালীর মূর্তি সহ আরও বেশ কিছু মূর্তির মালা ছিড়ে পড়ে রয়েছে। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে “যাহা ইউনুস, তাহাই মমতা” বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করেন যে, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, “এই ভিডিওতে যে দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ফুলহরি হরিতলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা নয়। বিগত কয়েক বছরের দৃশ্যমান এই অতি পরিচিত ঘটনাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিম বাংলাদেশ থুড়ি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার উত্তর বিধানসভার পুন্ডিবাড়ি বাজার এলাকায় একটি মন্দিরের। গত পরশু রাত্রে মা কালীর মূর্তি সহ চারটি মূর্তি ভাঙচুর করে জেহাদীরা। ঘটনার প্রতিবাদ এবং দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে সনাতনীরা শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ৪৮ জন সনাতনীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একজন জেহাদীকেও পুলিশ আটক করেনি। যাহা ইউনুস তাহা মমতা।”