প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যে এসআইআর আবহে গতকাল নিউটাউনে একটি ঝুপড়িতে অগ্নিকান্তের ঘটনা ঘটেছে। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এর পেছনে কি ভয়ংকর কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে? যেভাবে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের বিরোধিতা করেছে, এমনকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের যাতে ভোটার তালিকায় রেখে দেওয়া যায়, তার সব চেষ্টা করছে, সেই পরিস্থিতিতে যে এলাকায় সব থেকে বেশি বাংলাদেশি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সেখানে তাদেরকে রেখে দেওয়ার জন্যই কি এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড? ইতিমধ্যেই গতকাল নিউটাউনের একটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৃণমূলের পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। আর এবার তৃণমূল নিজেদের সুবিধে করার জন্যই এই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের পর এখন সেখানকার মানুষদের কাগজপত্র যাতে করে দেওয়া যায় এবং তাদের যাতে বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করবে বলে ভয়ংকর পরিকল্পনা সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এসআইআর হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতারা দাবি করছে, নিউটাউনে কাজের লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে সবথেকে বেশি বাংলাদেশি রয়েছে। তারা এখন এসআইআরের ফলে কাগজপত্র না দেখানোর কারণে ওপার বাংলায় ফিরে যেতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে গতকাল সেই নিউটাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, এই এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশী ছিলো, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা আবার গোটা ঘটনায় এসআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে কাগজপত্র এমনিতেই তো এই সমস্ত মানুষের নেই, তাই তারা যাতে কাগজপত্র তৈরি করতে পারেন, এখন সেই কথা তুলে ধরে তৃণমূল এই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করবে। এদিন তেমনটাই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন নিউটাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ক্যাম্প বানাবেন বলেছিলেন না! এটা তারই একটা পদক্ষেপ। সমস্ত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী জেহাদিরা ওখানে ছিলো। ওদের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলো। এবার বলবে, আর কোনো কাগজপত্র নেই, সব পুড়ে ছাই। এবার ওই ডেস্ক থেকে শুনানির সময় কাগজ তৈরি করবে তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম দায়িত্ব নিয়ে নেবেন, বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার। যদি না পারেন, তাহলে অন্য কোনো পঞ্চায়েত থেকে ব্যবস্থা করবেন।”