প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবে কি হবে না, তা নিয়ে একটা টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এসআইআর করে বিজেপি ঘুরপথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। যদিও বা বিজেপির দাবি, এসআইআর হলে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। আর এরা তৃণমূলের ভোটব্যাংক। এদের নাম বাদ দিলে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে না জন্যেই তারা এই এসআইআরের বিরোধিতা করছে। তবে সাধারণ মানুষ খুব ভালো মতই উপলব্ধি করতে পারছে যে, এসআইআর পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই জনতার পক্ষ থেকেও দাবি উঠছে, যাতে এসআইআর হয়। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলায় এসআইআরের সম্ভাবনাকে আরও প্রকট করে চলতি মাসেই হতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

সূত্রের খবর, চলতি মাসেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। যেখানে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আর সেই বৈঠকেই যোগ দিতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল। স্বাভাবিকভাবেই যখন এসআইআর নিয়ে একটা গুঞ্জন চলছে, তখন দিল্লির এই বৈঠক যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসআইআর হলে তৃণমূলের ঘুম উড়তে শুরু করবে। তাই এখন থেকেই শাসক দল তার প্রকট বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। তবে সকলেই চাইছে যে, এসআইআরটা হোক। কারণ এসআইআর হলে বাংলায় কারা প্রকৃত ভোটার, সেই সম্পর্কিত একটা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। যেভাবে বাংলার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে, যেভাবে অনুপ্রবেশ কারীতে বাংলা ভরে গিয়েছে বলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসছে, তাতে একটা আসল তথ্য সামনে আসা প্রয়োজন। তাই তৃণমূল যদি এর বিরোধিতা করতে শুরু করে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, তারা ভয়ে রয়েছে। তবে চলতি মাসেই এসআইআরের সম্ভাবনার মধ্যে দিল্লিতে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ডেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই বৈঠক থেকে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।