প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহারে এসআইআর লাগু হওয়ার পর থেকেই একটা প্রশ্ন উঠছে যে, পশ্চিমবঙ্গে তো সামনেই নির্বাচন। তাহলে কি এখানেও হবে এসআইআর? ইতিমধ্যেই যে তৎপরতা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, বাংলায় এসআইআর হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। গত ১০ তারিখ জাতীয় নির্বাচন কমিশনে সমস্ত রাজ্যের সিইওদের নিয়ে যে বৈঠক হয়েছে, সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ৩০ তারিখের মধ্যে এসআইআর সম্পর্কিত যে প্রস্তুতি, তা শেষ করে ফেলতে হবে। আর তখনই মনে করা হয়েছিল যে, বাংলায় এসআইআর হতে চলেছে। আর তার মাঝেই এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক একেবারে সশরীরে আসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গে।
সূত্রের খবর, বাংলায় এসআইআর নিয়ে তৎপরতার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একটি শীর্ষস্থানীয় দল পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন। যেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে কি করে এই এসআইআরের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো উচ্চপদস্থ আধিকারিক বাংলায় পা রাখতে পারেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পক্ষ থেকে সমস্ত জেলা ডিইওদের গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে উচ্চ পদস্থ আধিকারিক পশ্চিমবঙ্গে আসবেন, তিনি বেশ কিছু জেলায় সশরীরে পৌঁছে যেতে পারেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক তরজা বর্তমানে চরমে উঠেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এসআইআরের প্রবল বিরোধিতা করা হচ্ছে। যদিও বা বিজেপি এসআইআরকে স্বাগত জানিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই এসআইআরের ভূমিকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছে। আর তার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে উচ্চ পদস্থ আধিকারিক পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছেন, তাতেই আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বাংলায় নির্বাচনের আগে এসআইআর চালু হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।