প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় সংশোধনী হওয়ার সম্ভাবনাকে ঘিরে রীতিমত উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপির দাবি, ভোটার তালিকায় সংশোধনী শুরু হলে অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নাম বাদ যাবে। আর তার ফলে তৃণমূল ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। তবে বিজেপি যখন এই সমস্ত দাবি করছে, তখন বিজেপিরই বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে সরব হলো মতুয়া মহাসংঘ। যাকে কেন্দ্র করে আরও জটিল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআরের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃনমূল কংগ্রেস। কোনোভাবেই ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না বলে দাবি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার মধ্যেই অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে এসডিও অফিসে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে। মতুয়া মহাসংঘের দাবি, বিজেপি বিধায়ক অনুপ্রবেশকারী। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় এই বিজেপি বিধায়কের নাম থাকলেও, তার বাবা এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নাম নেই বলেই অভিযোগ মতুয়া মহাসঙ্ঘের। স্বাভাবিকভাবেই যে বিজেপি সবথেকে বেশি এসআইআরের দাবি করছে, সেই বিজেপিরই বিধায়কের বিরুদ্ধে মতুয়া মহাসংঘের এই ধরনের বিস্ফোরক দাবিকে ঘিরে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

এদিকে মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে যখন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই পথে নামা হয়েছে, তখন পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। ১৯৫০ সালের নথি প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন যে, ভুলবশত ২০০২ সালে তার বাবার নাম বাদ পড়ে যায়। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন বলেই জানিয়ে দিয়েছেন এই বিজেপি বিধায়ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই যখন মতুয়া মহাসংঘ এইরকম মারাত্মক অভিযোগ তুলছে, তার ফলে কিন্তু বিজেপিই যথেষ্ট ব্যাকফুটে পড়ে গেল। এটা বিজেপির কাছে কার্যত অগ্নি পরীক্ষার সমান। এখন বিজেপিকেও নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে। পাশাপাশি বিধায়ককেও মতুয়া মহাসংঘের তোলা অভিযোগ খন্ডন করে সুস্পষ্ট যুক্তি তুলে ধরতে হবে। তা না হলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে এসআইআর নিয়ে বিজেপিকেই পাল্টা চাপে ফেলে দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।