প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় একসাথে বলা হতো, অঙ্গ, বঙ্গ এবং কলিঙ্গ। বিহার, বাংলা এবং উড়িষ্যাকে এই তিনটি নামে সম্বোধন করা হতো। যার মধ্যে অঙ্গ এবং কলিঙ্গ দখল করে ফেলেছে বিজেপি। বাকি রয়েছে বঙ্গ। বিহার জয়ের পর সেই বঙ্গ দখলই এখন বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট। এতদিন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বাংলা জয়ের জন্য পুরোদস্তুর ঝাঁপালেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কবে থেকে বাংলার দিকে নজর দেবে, তা নিয়ে সকলের মধ্যেই একটা কৌতূহল ছিল। কিন্তু বিহার জয়ের পরেই বোঝা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় বিজেপির এখন একমাত্র টার্গেট, পশ্চিমবঙ্গ দখল। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন নেতৃত্বকে বাংলায় পড়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এবার যে খবর পাওয়া গেল, তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। বিহার জয়ের পর ডিনার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল নিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের বড় বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, গতকাল রাতেই দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা একটি ডিনার বৈঠকে বসেছিলেন। আর সেখানেই বাংলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, বিহার জয়ের পরেই ডিনার বৈঠকে অমিত শাহ দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকুন। যে কোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।” অর্থাৎ বাংলার জন্য শুধুমাত্র বাংলার নেতৃত্বরাই পরিশ্রম করবেন, তা কিন্তু নয়। বিজেপি একটি সর্বভারতীয় দল। তাই বাংলার কর্মীদের কাছেও এই বার্তাটা পৌঁছে দেওয়া দরকার যে, সর্বভারতীয় বিজেপি বাংলা দখলের জন্য কতটা সিরিয়াস। তাই বাংলায় যে লড়াইটা ২০২৬ এ রয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াইটা দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। আর সেই কারণেই বাংলায় তৃণমূলকে সরাতে এবার নিজের কৌশল সাজাতে শুরু করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমিত শাহ এখন পুরোপুরি ডিটারমাইন্ড হয়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ দখল নিয়ে। আর সেই কারণেই তিনি আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে চাইছেন না। তাই গোটা সর্বভারতীয় বিজেপিকেই তিনি বাংলার কাজের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে দিলেন গতকালের ডিনার বৈঠকে। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় বিজেপিও যে এখন বঙ্গ বিজেপির পাশাপাশি বাংলা দখলের জন্য অতি তৎপর হয়ে উঠেছে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।