প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে এসআইআর হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অন্তত তৃণমূলের পক্ষ থেকে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। তারা বলছে যে, এসআইআর এর আতঙ্কে সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে বিজেপি দাবি করছে, এসব তৃণমূলের মানুষকে ভয় দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। এত রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে, কোথাও এরকম ঘটনা ঘটছে না। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তার কারণ তৃণমূল চাইছে না যে, এসআইআর হোক। আর সেই কারণেই তারা স্বাভাবিক মৃত্যুকেও এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু বলে চালিয়ে দিতে শুরু করেছে। আর এসবের মধ্যেই এতদিন যেমন তৃণমূলের এই অভিযোগকে খন্ডন করে আসছিল বিজেপি, ঠিক তেমনই এদিনও সেই রকম অভিযোগ খন্ডন করে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূল নামক কালসর্প দোষ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে জন্যেই এখানে এই ধরনের মৃত্যু হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। এমনকি কোনোভাবেই যখন এসআই আর আটকানো গেল না, তখন তারা নতুন একটি রাজনীতি এই বাংলার বুকে শুরু করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। যেখানে কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু হলেই তৃণমূলের নেতারা সেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন এবং দাবি করছেন যে, এসআইআরের আতঙ্কে এই মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এসআইআর হচ্ছে এবং সেখানে এরকম কোনো ঘটনা ঘটতে দেখা না গেলেও কেন পশ্চিমবঙ্গেই এইরকম মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে সকলের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। সকলেই বুঝতে পারছেন যে, এটা তৃণমূলের মিথ্যে রাজনীতি এবং ভয় দেখানোর কৌশল। এতদিন বিজেপি নেতারা এই ইসুকে থামলে রেখে রাজ্যে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে তৃণমূল যেখানে থাকবে সেখানেই যে এই সমস্ত ঘটনা ঘটবে, তা বুঝিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আর সেখানেই এসআইআরআই পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক মৃত্যু নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়‌। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “১২ টি রাজ্যে তো এসআইআর হচ্ছে। তাহলে ১২ টি রাজ্যেই মৃত্যু হত। আসলে কোনো রাজ্যেই তৃণমূল নামক এই কালসর্প দোষ নেই। তৃণমূল নামক কালসর্প দোষ এই পশ্চিমবঙ্গে আছে বলেই এখানে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।” অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল যে কতটা জঘন্য রাজনীতি করছে এবং মিথ্যের বেসাতি করছে, তা আরও একবার এই কালসর্প দোষ মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। যার ফলে তৃণমূল যথেষ্ট প্রেস্টিজে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।