প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গণতান্ত্রিক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এখানে সবাই সবার মত করে রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল যেহেতু ক্ষমতায় আছে, তাই তারা বাদে কোনো বিরোধী দল তাদের মত করে কর্মসূচি করতে পারবে না, এটাই এখন তৃণমূল প্রশাসনের একপেশে আইনের পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তেমনটাই অভিযোগ করে বিরোধীরা। গতকাল আদালতের অনুমতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কোচবিহারে গেলেও, সেখানে যেভাবে তার কনভয়ে হামলা করা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। কিন্তু কোচবিহারে এই অসভ্যতার পরেও তৃণমূল বিন্দুমাত্র শিক্ষা নেয়নি। এবার ফের আজ বারাসাতে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির আগে সেখানেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে যাবতীয় নোংরামি শুরু হয়ে গেল বলেই অভিযোগ বিজেপির।

সূত্রের খবর, আজ বারাসাতে কন্যা সুরক্ষা যাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে। যেখানে একটি মিছিল করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে শুভেন্দুবাবুর সেই কর্মসূচির আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তেজনা। অভিযোগ, শুভেন্দুবাবুর এই কর্মসূচির জন্য যে ব্যানার লাগানো হয়েছিল, তার ওপরেই তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার জন্যই এই অশান্তির চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ বিরোধী শিবিরের।

একাংশের প্রশ্ন, তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অশান্তি করছে কেন? এর ফলে যে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এটা কি তারা বুঝতে পারছে না? কোচবিহারের ঘটনার পর তৃণমূলের আমলে আইনশৃঙ্খলা যে সুরক্ষিত নয়, তা তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সেখানে বিরোধী দল নিজেদের মত করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে, রাজনীতি করবে, এটাই তো একটি গণতান্ত্রিক রাজ্য হওয়া উচিত। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে তিনি যেখানেই কর্মসূচি করতে যাচ্ছেন, সেখানেই যেভাবে অসভ্যতা শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল এবং বারাসাতেও আজ যে ঘটনা ঘটে গেল, তার ফলে আখেরে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরেরই। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা রাজনৈতিক অস্ত্রে শান দিয়ে তৃণমূল বিরোধীতায় আরও বেশি করে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।