প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ২০২১ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর থেকেই দাবি করে আসছেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দেখাবেন। তবে নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল নেত্রীকে আরও বেশি করে চাপে ফেলে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এখন আরও ক্রমাগত তিনি দাবি করছেন যে, ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থীকে দিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেখাবেন। এমনকি ২০ হাজার ভোটে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হবেন বলে দাবি শুভেন্দুবাবুর। আর তার মাঝেই ফের সেই ভবানীপুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অত্যন্ত আতঙ্কিত, সেই মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিলেন বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের যতগুলো বিধানসভা আসন রয়েছে, তার মধ্যে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। কেননা এই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি যে এখান থেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন, সেই ব্যাপারে সকলেই প্রায় নিশ্চিত। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে। সম্প্রতি তৃণমূলের বিজয় সম্মেলনীতে সেই ভবানীপুরে বহিরাগতদের ঢোকানো হচ্ছে বলে কিছুটা চিন্তার আভাস পাওয়া গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভবানীপুর আসন কখনই তৃণমূলের জন্য নিরাপদ ছিল না, এখনও নেই। চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে মমতা ব্যানার্জি এবং তার দল গত লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে। এসআইআরের পরে, বাংলাদেশের মুসলমানদের নাম বাদ চলে যাওয়ার পরে এই ওয়ার্ডেও লিড পাবে না। ২০১৪ সালে এখানে বিজেপির যিনি প্রার্থী ছিলেন, তিনি ওই বিধানসভা থেকে লিড পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই আসন বিজেপির আসন। যিনি দাঁড়ান, এখানে ভারতীয় জনতা পার্টিই তিনি জিতবেন। এখানে মমতা ব্যানার্জি জিতবেন না।”