প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মাঝেমধ্যেই দাবি করছেন, ২০২১ এ যেমন তিনি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, ঠিক একইভাবে তিনি ভবানীপুরেও ২০২৬-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেখাবেন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা আতঙ্কিত? তাই কি এখন থেকেই নিজের আসন ভবানীপুরকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ময়দানে নামিয়ে দিচ্ছেন তিনি? আজ সকালেই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এক পুলিশকর্তা শান্তনু সিনহা, যিনি মহিলাদের শাড়ি বিতরণ করছেন। আর তারপর বলে দিচ্ছেন যে, দিদি দিয়েছেন। অর্থাৎ ঘুরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিয়েছে, তার প্রচার করার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ বলেই ভিডিওতে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার আতঙ্কেই পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এই সমস্ত কার্যকলাপ করছেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সকালের পোস্ট করা ভিডিও নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও বড় মন্তব্য করে বসেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন, এই রাজ্যের পুলিশের কোনো কাজ নেই। তাদের একটাই কাজ, তৃণমূলের দলদাস হয়ে ভোট ম্যানেজ করা। আর সেই কাজ একজন পুলিশকর্তা করছেন। যা তার কাছ থেকে মোটেই শোভা পায় না বলেই দাবি করেছেন শুভেন্দুবাবু।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। কারণ আমরা বারবার করে বলছি, ওনাকে হারাবো। নন্দীগ্রাম রিপিট হবে। স্বাভাবিকভাবেই উনি এই চাকর, বাকরদের নামিয়ে দিয়েছেন। বলছে, দিদি দিচ্ছে, এটা বলে দেবেন। এটা বলতে পারেন নাকি? তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। এটা সবাই জানেন। তিনি সিভিল ড্রেসে থাকুন, আর যাই থাকুন। তোলাবাজির টাকায় কাপড় বিতরণ করছেন, ভবানীপুরের বিশেষ করে হিন্দু এলাকাগুলোতে। বলছে, দিদি দিয়েছে, এটা মনে রাখবে। এ তো পরিষ্কার। এটা তো আর চাপা দেওয়ার কিছু নেই।”