প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নেপালে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত-নেপাল সীমান্তে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। অত্যন্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। কেননা নেপালের পরিস্থিতির আঁচ এপারে যাতে কোনোভাবেই না পড়ে, তার জন্য সদা সতর্ক থাকছে ভারতের জাওয়ানরা। ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, নেপালে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই প্রচুর কয়েদি নেপালের জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছে। আর এবার সেই সমস্ত কয়দিরা কি ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কারণ, ইতিমধ্যেই একটি বড় তথ্য সামনে চলে এসেছে।

প্রসঙ্গত, নেপালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই প্রচুর কয়েদির জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর সামনে এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই তারা এবার কোথায় আশ্রয় নেবেন, কোথায় গিয়ে থাকবেন, সেই নিয়ে একটা চিন্তা সকলের মধ্যেই গ্রাস করতে শুরু করেছিল। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী যা জানা যাচ্ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় ভারতের জন্য। মনে করা হচ্ছে যে, ভারতকেই আশ্রয় হিসেবে বেছে নেওয়ার হয়ত চেষ্টা করেছিল নেপালের জেল থেকে পালিয়ে যাওয়া এই সমস্ত কয়েদিরা। যদিও বা ৩৫ জন কয়েদিকে ইতিমধ্যেই ধরে ফেলেছে এসএসবি।

জানা গিয়েছে, নেপালের জেল থেকে যে সমস্ত কয়েদিরা পালিয়ে গিয়েছিল, তার মধ্যে ৩৫ জনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে ২২ জন। বিহারের ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে ৩ জন এবং বাংলার ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে ৩ জনকে ধরতে পেরেছে এসএসবি। আর যেভাবে ভারত-নেপাল সীমান্তে এই কয়েদিদের আটক করা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এই কয়েদিরা কি তাহলে যেভাবেই হোক, ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল? ভারতের যাতে সর্বনাশ হয়, তার জন্য কি ভেতরে ভেতরে একটা ষড়যন্ত্র চলছে? নিরাপত্তারক্ষীদের সদা সতর্ক মনোভাবের জন্য হয়ত এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গেল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-নেপাল সীমান্তের নিরাপত্তা যে আরও বজ্র আটুনির মত রাখা উচিত এবং কোনভাবেই যাতে সেই সীমান্ত দিয়ে কেউ এপারে না আসতে পারে, তা নিশ্চিত করা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।