প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশ এবং দেশের সেনাবাহিনীকে বারবার অগ্রাহ্য করেন। ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ নামে যে একটি অঙ্গরাজ্য আছে, সেটা তিনি ভুলে যান। তিনি ভাবেন যে, পশ্চিমবঙ্গ একটা আলাদা দেশ। তিনি নিজের মতো করে যা ইচ্ছে যা খুশি তাই বলতে পারেন। আর সেটা করতে গিয়ে প্রতিমুহূর্তে নিজেকে দেশবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করে গিয়েছেন। অন্তত কটাক্ষ করে তেমনটাই বলে বিরোধীরা। সম্প্রতি মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ সেনার পক্ষ থেকে খুলে দেওয়ার পরেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল প্রাক্তন সেন কর্মীদের মধ্যে। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমানের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করবেন। আর সেই মত হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুমতি নেওয়ার জন্য। অবশেষে হাইকোর্ট থেকে অনুমতি মিলতেই আজ সেই মেয়ো রোডে অবস্থানে বসতে চলেছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেনাবাহিনীর প্রতি অপমানের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আজ ধর্নায় বসতে চলেছেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। মূলত, মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগেই সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য করেছিলেন, তাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়ে গিয়েছে বলে তিনি যে কথা বলেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল প্রাক্তন সেনা কর্মীদের মধ্যে। তাদের একটাই প্রশ্ন ছিল যে, একজন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কি করে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে এমন কুরুচিকর কথা বলতে পারেন? সেই জন্য তারা মুখ্যমন্ত্রীর অপমানের প্রতিবাদ করে সেই মেয়ো রোডে ধর্ণা করবেন, এমন আবেদন হাইকোর্টের কাছে করেছিলেন। অবশেষে হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মেয়ো রোডে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি করার অনুমতি দিয়েছে। আর আজ সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে চলেছেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিঃসন্দেহে এটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত চাপের কারণ। তিনি প্রতি মুহূর্তে যেভাবে দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করেন, এবার তার পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদ প্রাক্তন সেনা কর্মীরা করতে চলেছেন, তাতে দেশপ্রেমী মানুষরা অত্যন্ত উজ্জীবিত। অনেকেই বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী কত বড় মানুষ হয়ে গিয়েছেন যে, তাকে দেখে সেনাবাহিনীরা পালিয়ে যাবে? তিনি এত বড় মন্তব্য করার পরেও সবাই চুপ করে থাকেন কি করে? তাই আদালত থেকে প্রাক্তন সেনা কর্মীরা অনুমতি নিয়ে আসার পর রাষ্ট্রপ্রেমী মানুষরা সকলেই খুশি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বলে যা খুশি তাই বলে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর সবটাই মেনে নেওয়া হবে, এই দিন কিন্তু শেষ হয়ে এসেছে। তাই যে মেয়ো রোডে দাঁড়িয়ে তিনি সেনাবাহিনীকে অপমান করেছিলেন, এবার সেই মেয় রোডেই তার অপমানের বিরুদ্ধে আজ প্রাক্তন সেনা কর্মীরা প্রতিবাদে নামতে চলেছেন। যার ফলে যথেষ্ট চাপ বাড়বে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।