প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় তৃণমূলের যে সমস্ত নেতারা জেলে রয়েছেন, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জীবনকৃষ্ণ সাহা, এমনকি সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। বারবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই সমস্ত ব্যক্তিদের কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন যে, এরা জেলের মধ্যে অত্যন্ত আনন্দে রয়েছেন। কখন তারা কি খাবেন, কিভাবে থাকবেন, তার সমস্ত আরামদায়ক ব্যবস্থা তাদের জন্য জেলের ভেতরে করে দেওয়া হচ্ছে। আর এর মধ্যেই গতকাল ঘটে গিয়েছে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। যেখানে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা মারার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন, তাহলে কি এই কাজের পেছনেও শেখ শাহজাহান জড়িত? জেল থেকে কি তিনি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন, তার বিরুদ্ধে যাতে সাক্ষ্য দিতে না পারে, তার জন্যও কি ভোলানাথ ঘোষকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? তবে তৃণমূলের বড় বড় মাথা, যারা জেলে রয়েছেন, তারা কিভাবে জেল থেকে ফোন ব্যবহার করে, সেই খবর যে তিনি জেলের আধিকারিকদের মাধ্যমেই পেয়ে যান, ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মারার ঘটনার পর শাহজাহানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভোলানাথ ঘোষের কনভয়। যেখানে তার গাড়িতে একটি ট্রাক ধাক্কা মারে। ইতিমধ্যেই তার ছেলে এবং সেই গাড়ির ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ভোলানাথ ঘোষ। তবে সকলের মধ্যেই একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যেহেতু তিনি অন্যতম সাক্ষী, তাই কি তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত? আর সেই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভয়ংকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে অন্যতম সাক্ষী, সেই ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মারার ঘটনায় তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটা শেখ শাহজাহান করিয়েছে। জেলের ভেতরে থেকে ফোন ইউজ করছে। আমি যতদূর জানি, ভোলানাথ ঘোষ হয়ত সক্রিয় তৃণমূল করেন না। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। তাই এই সমস্ত মামলা এই রাজ্য থেকে বাইরের রাজ্যে নিয়ে যেতে হবে। এখানে থাকলে এরা জেলের ভেতরে অত্যন্ত আরামদায়ক অবস্থায় রয়েছেন। ফোন ব্যবহার করছেন। এমনকি জেল থেকেই অনেকে আছেন, যারা আমার কাছে খবর দিয়ে দিচ্ছেন যে, এই শাহজাহানরা কখন কি করছে। তাই এই সমস্ত মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে এই ভোলানাথ ঘোষের মত মানুষদের যে কোনো সময় মেরে ফেলা হতে পারে।”