প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শহর কলকাতায় জলমগ্ন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় বিরোধীরা রাজ্য প্রশাসন এবং কলকাতা পৌরসভার গাফিলতিকেই দায়ী করছেন। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই একটা দায় ঠেলাঠেলির পর্ব চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। আর তার মধ্যেই কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং আবার সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। মানুষ কেন এত জলমগ্ন পরিস্থিতিতে নামবে, সেই বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন। যার ফলে তার মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আর এবার মানুষের এইভাবে জলে নামা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্ত্বেও কেন সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানানো হয়নি, আর এই না জানানোটা আরও বড় অপরাধ বলেই পাল্টা মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরসভার গাফিলতিকে দায়ী করে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এত মানুষের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের একটাই দাবি, শহর কলকাতায় যখনই বিপর্যয় হয়, যখনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে, তখনই জল জমা হয়। আর জমা জলে মানুষ নামলেই তাদের মৃত্যু হয়। আর এর একটাই কারণ, সারা বছর ধরে বিদ্যুতের তার খোলা অবস্থায় থাকে। সেগুলোর কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না, নজরদারি থাকে না পৌরসভার। যার ফলে দুর্যোগ হতেই পারে, কিন্তু দুর্যোগ হলেই যেভাবে একের পর এক মৃত্যু হতে শুরু করে এই শহর কলকাতায়। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং এর জন্য প্রশাসন এবং পৌরসভা দায়ী বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। তবে এর মধ্যেই কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিংহ সাধারণ মানুষকেই আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তবে তার পাল্টা মন্তব্য করতে গিয়ে পৌরসভার মেয়র পারিষদকেই চাপের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মানুষ জলের মধ্যে বেরিয়ে যদি অপরাধ করে থাকে, আইএমডি যখন জানিয়েছিল, আপনারা যে সেটা জানাননি! মানুষ যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে আপনারা চরমতম অপরাধ করেছেন। মানুষকে সতর্ক করেননি। কোথায় আপনার মনোজ বর্মার পুলিশ? অভয়ার মা-বাবা লোকজন নিয়ে রাস্তায় নামলে, তাকে মাথা ফাটানোর জন্য থাকেন। চাকরি প্রার্থীদের মেট্রো স্টেশন থেকে খুঁজে বের করেন। ওদিকে একটা পাকা সুপ্রতিম, আর এদিকে ইন্দিরা। কোথায় এরা? দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?”