প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ২০২৬ এর নির্বাচনে যে জোরদার লড়াই হতে চলেছে, তার একটা আভাস এখন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে সবথেকে বেশি আলোচিত বিষয় এসআইআর। শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী, সকলেই এই এসআইআর নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে চলছে রাজনৈতিক তরজা। আর তার মধ্যেই এবার তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে এবারের নির্বাচনে প্রধান লড়াই হবে মনে করা হলেও, আইএসএফ বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ফ্যাক্টর হতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এবার ভাঙ্গুড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে উদ্দেশ্য করে দেখানো হলো কালো পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বুকে বারবার বিরোধী নেতাদের বিভিন্ন জনসভায় যাওয়ার মুখে তাদেরকে বাধা দেওয়া যেন একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাধাপ্রাপ্ত হন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদারের মত বিজেপি নেতারা। এমনকি অনেক জায়গায় তাদের হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এই রাজ্যে বিরোধী জন প্রতিনিধিদেরও যে নিরাপত্তা নেই, তা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে যে দুর্যোগ হয়েছিল, তারপর নাগরাকাটায় যেভাবে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু রক্তাক্ত হয়েছেন, সেই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সকলের কাছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ঘুটিয়ারি শরিফে জনসভায় যাওয়ার আগে রীতিমত বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তবে তাকে হঠাৎ করে কালো পতাকা দেখানো হলো কেন?

জানা গিয়েছে, এদিন নারায়নপুরে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যেখানে তাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তবে অনেকেরই প্রশ্ন, এর পেছনেও কি শাসক দলের চক্রান্ত রয়েছে? তবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। কেননা তার যে জনসভা, সেখানে বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। আর সেই কারণেই উত্তেজিত জনতা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের এই দাবি কতটা সত্যি? এই নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি এখনও পর্যন্ত মুখ না খুললেও, কেন এই বিক্ষোভ হলো, তার রহস্য সন্ধানে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।