প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ রাজ্য বিধানসভায় এক বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন সকলে। যেখানে বিরোধীদের যে এমনিতেই কথা বলতে দেওয়া হয় না, বিধানসভায় সেটা সকলেই জানে। চলতি অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী আসার দিন যাতে বিরোধী দলনেতা থাকতে না পারেন অধিবেশনে, তার জন্য আগেভাগেই তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে বিজেপির বাকি বিধায়করা আজ প্রস্তুত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য। আর সেই মত মুখ্যমন্ত্রী যখন বলতে ওঠেন, তখন বিজেপি বিধায়কদের ক্রমাগত স্লোগান, প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ। আর এরপরেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি। যেখানে তৃণমূলের বিধায়করাও নিজেদের আসন ছেড়ে ওয়েলে নামার চেষ্টা করেন আর তারপরেই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সকল তৃণমূল বিধায়ককে নিজের আসনে বসার জন্য তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আজ সকলেরই নজর ছিল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনের দিকে। মুখ্যমন্ত্রী আজকের অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন, এটা সকলেই জানতেন। আর সেই মতই পাল্টা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিজেপি। বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় থেকেই তুমুল প্রতিবাদ এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। আর তারপরেই পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল বিধায়করা। যেখানে তৃণমূলের বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে ওয়েলে নাম নেমে আসতেও দেখা যায়। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজের আসন ছেড়ে সকল তৃণমূল বিধায়ক যাতে প্রত্যেকের আসনে যান, তার জন্য ওয়েলে নেমে এসে সকলকে সংযত হওয়ার বার্তা দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভায় শাসক পক্ষ অবশ্যই নিজেদের কথা বলবে। কিন্তু বিরোধীদের কথা বলার জায়গা হচ্ছে বিধানসভা। সেখানে যদি বিরোধীরা বারবার প্রতিনিয়ত বাধা পান, তাহলে তারা প্রতিবাদ করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তখন শাসক সক্ষকে সংযত থাকতে হবে। কিন্তু আজ তৃণমূলের বিধায়করাও যেভাবে পাল্টা স্লোগান, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন, তা এক কথায় বেনোজির বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।