প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ বিধানসভায় এসেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়ে গেছেন। তাই তাকে বাধা দেওয়ার মত কেউ থাকবে না। কিন্তু শুভেন্দুবাবু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি হয়ত সাসপেন্ড হওয়ার কারণে বিধানসভার ভেতরে থাকতে পারবেন না। কিন্তু যে সমস্ত বিজেপি বিধায়করা আছেন, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে দেবেন যে, তারা প্রত্যেকেই বিরোধী দলনেতা। আর সেই মতই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় ক্রমাগত বিজেপির বিরোধীতার মুখে পড়েন। মাঝেমধ্যেই তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিধানসভার ভেতরে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আজ বিজেপি বিধায়কদের বিরোধিতার মুখে পড়েছেন, অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আজ দশ, শুন্য গোল দিয়ে বিজেপি বিধায়করা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, আজ রাজ্য বিধানসভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলতে ওঠার সাথে সাথেই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন। যার ফলে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনিও এমন কিছু মন্তব্য করেন, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির চারজন বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে শঙ্কর ঘোষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আজ যেভাবে বিজেপি বিধায়করা জোরালো প্রতিবাদের মুখে ফেলেছিলেন, তাতে তিনি বুঝেছেন যে, প্রতিবাদ ঠিক কতটা কঠিন! অধিবেশন শেষে বাইরে বেরিয়ে এসে তেমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে জোরালো প্রতিবাদের মুখে ফেলার কারণে বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের ধন্যবাদ জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এরা ভেবেছিল, শুভেন্দু অধিকারীকে বাইরে রেখে চোর মমতার বক্তব্যের সময় ফাঁকা মাঠে গোল করব। রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলমানদের প্রোটেকশন দিয়ে বাংলা বাঙালির অস্মিতার কথা বলে, ভাষার নামে আইপ্যাকের বুদ্ধিতে বলে চলে যাব। কিন্তু আমরা মমতা ব্যানার্জিকে ১০ গোল খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি। আমাদের টিম বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা প্রত্যেকেই এক একজন বিরোধী দলনেতা।”