প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই। কোথাও শাসকের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ তোলা যাবে না। আর আওয়াজ তুললেই পুলিশ দিয়ে তাদের বাধা দানকরা হবে। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ করে বিরোধীরা। আজ ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা পৌঁছে যায় বিধানসভার গেটের কাছে। যেখানে তারা বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। আর সেই সময় পুলিশ এসে তাদের ব্যাপক পরিমাণে হেনস্থা করে এবং টানা হ্যাচঁড়া করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার কারণ কি? যেখানে রাজ্য সরকার এবং পর্ষদ চাকরি দিতে পারছে না, সেখানে তো চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রতিবাদ জানাবেই। আর তাদের এইভাবে দমন করার জন্য পুলিশের অতি সক্রিয়তা কেন? ইতিমধ্যেই চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আর এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণরা পৌঁছে যায় ধর্মতলা চত্বরে। সেখানে তারা তাদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। এমনকি নিয়োগের দাবিতে তারা পৌঁছে যান একেবারে বিধানসভার গেটের সামনে। আর সেই সময় তাদের সঙ্গে পুলিশ চরম দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। জোর করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেই সময় তিনি যদি বিধানসভায় থাকতেন, তাহলে পুলিশের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করতেন বলেই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন টেট উত্তীর্ণদের বিধানসভার গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওরা বিধানসভার গেটে গিয়েছিল। খুব খারাপ আচরণ করেছে। পুলিশ অত্যাচার করেছে। আমি এর নিন্দা করি। আমি বিধানসভায় থাকলে আমি ওদের সঙ্গ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতাম।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী পুলিশের চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ কাকে বলে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্য বিধানসভার ভেতরে হোক বা বাইরে, যেখানেই পুলিশ অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে, সেখানেই তাদের চোখে চোখ রেখে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। তাই আজ যদি সত্যিই তিনি বিধানসভায় থাকতেন, হয়ত তাহলে পরিস্থিতি অন্য আকার নিতে পারতো। যেভাবে আজ টেপ উত্তীর্ণদের সঙ্গে পুলিশ হেনস্থা করেছে, হয়ত সেটা করার সাহস তারা দেখাতে পারতেন না। কারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার কোনো প্রশাসন এভাবে কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভার গেটে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আজ টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে পুলিশের সেই আচরণের কড়া ভাষায় নিন্দা জানাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।