প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিকমত পদক্ষেপ করছে না, কেন বহু ব্যক্তির বিরুদ্ধে সঠিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নেওয়া হচ্ছে না কড়া অ্যাকশন, তা নিয়ে বিজেপির অনেকেরই হতাশা কাজ করছিল। তারাও প্রশ্ন তুলছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এইরকম ভূমিকার কারণ কি? তবে এবার সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যে অ্যাকশন মুড দেখা যাচ্ছে, তাতেই স্পষ্ট যে, ২৬ এর নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। এবার এসএসসির নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হলো তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে।

বলা বাহুল্য, এদিন সকাল থেকেই ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন। যেখানে তারা পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেও। তবে এর আগে সিবিআই যখন তাকে গ্রেফতার করেছিল, তার আগে এই তৃণমূল বিধায়ক যেমন দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন, এবারও ইডি আধিকারিকদের দেখে তিনি প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তাকে ধরে ফেলা হলে তিনি নিজের মোবাইল ফোনে থাকা তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই ফোনটিও পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন বলে খবর। পরে অবশ্য সেই ফোন উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আর এবার সেই তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও এই তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছিলেন সিবিআইয়ের হাতে। সেই সময়ও অনেক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার পুকুরে ফেলে দেওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে দীর্ঘ সময় লাগে। তবে কিছুদিন আগেই তিনি অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জামিন পেয়েছেন। আর এবার এসএসসির নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় ফের সেই তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেপ্তার করলো ইডি। আর ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিধায়কের এই গ্রেফতারি ঘাসফুল শিবিরের কাছে যে যথেষ্ট অস্বস্তিকর, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।