প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আর কতটা মানুষ নির্লজ্জ হতে পারে! ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তিনি যে অপরাধ করেছেন তা যে কোনোমতেই ক্ষমার যোগ্য নয়, তা বলাই যায়। বিরোধীরা যদি সামান্য প্রতিবাদ করে, রাস্তায় বেরিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে, তাহলেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নেয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও সেই অনুব্রত মণ্ডল এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি, তা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর তার মধ্যেই আজ সকালে যখন তার বোলপুর থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা, তখন হাজিরা না দিয়ে নির্লজ্জের মত কেন বাড়িতে বসে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, কেন এখনও পর্যন্ত পুলিশ অপেক্ষা করছে, কেন তাকে এই হাজিরা অমান্য করার কারণে গ্রেপ্তার করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের কদর্য হুমকির অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। গতকালই তার বাড়িতে গিয়ে নোটিশ দেয় পুলিশ। যেখানে আজ সকাল ১১ টায় তাকে বোলপুর থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি সেখানে হাজিরা দেননি। উল্টে তারা আইনজীবীরা এসডিপিও অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন। আর এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, এত কিছুর পরেও আর কত লজ্জার মাথা খাবেন অনুব্রত মণ্ডল?

বিরোধীদের দাবি, যদি কোনো বিরোধী দলের নেতা বা কোনো ইউটিউবার বা কোনো নিরপেক্ষ সাংবাদিক সামান্য প্রতিবাদটুকু করত, তাহলেই যেদিন তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেদিনই তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিত। নোটিশ পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করত না। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলকে এত বড় জঘন্য অপরাধ ঘটানোর পরেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আবার পুলিশ অপেক্ষা করছে, তাকে জেরা করা হবে। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডল না গিয়ে তার আইনজীবীরা সেখানে গিয়েছেন। ফলে এখন কেন পুলিশ গিয়ে সেই অনুব্রত মণ্ডলের কলার ধরে তাকে জেলে নিয়ে আসবে না! গারদে ঢোকাবে না? এই প্রশ্ন তো রাজ্যের মানুষের মধ্যে চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পুলিশের মুরোদ বোঝা গেছে। তৃণমূল নেতা বলেই যে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য সাত খুন মাফ, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে এত কিছুর পরেও যদি পুলিশ এই ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেয়, এখনও যদি জেরা এড়িয়ে বাড়িতেই নিশ্চিন্তে বসে থাকে অনুব্রত মণ্ডল, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে পুলিশ বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়তা দেখালে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠতে দুবার ভাববেন না সাধারণ মানুষ। বারবার করে পুলিশের অতিসক্রিয়তা বিরোধী থেকে শুরু করে সমালোচকদের ক্ষেত্রে দেখা গেলে বারবার করেই উঠে আসবে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ। আর সেটা নবান্নে বসে নীরবতার সঙ্গে সহ্য করতে হবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেই দাবি পর্যবেক্ষকদের।