প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন যে, তারা নাকি উন্নয়নে বিশ্বাসী। কিন্তু উন্নয়ন তো সকলকে নিয়ে একসাথে করতে হয়। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেন, সেখানে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও তাকে ডাকা হয় না। এটাই এখন এই রাজ্যের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা যাতে কাজ করতে না পারেন, তার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হয় শাসক দলের পক্ষ থেকে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর এখন বিজেপির যে সমস্ত বিধায়করা রয়েছেন, তাদের ভাবমূর্তি খারাপ করতে তাদের বিধায়ক তহবিলের টাকাও আটকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ তুলেই আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে অনশন বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মুখেই উন্নয়ন নিয়ে বড় বড় কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে যে সমস্ত জায়গায় বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা রয়েছে, সেখানে তাদের চূড়ান্ত অসহযোগিতা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তারা যাতে কাজ করার ইচ্ছে থাকলেও তা করতে না পারেন, তার জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। তবে সেই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে এতদিন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ করে যাচ্ছিলেন। তবে এবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলো শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের। যেভাবে বিধায়কের উন্নয়ন তহবিলের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই গর্জে উঠলেন তিনি। পাশাপাশি গোটা বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে হুঁশিয়ারিও দিলেন এই হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক।
এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর সেখানেই উন্নয়নের টাকা যেভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। শঙ্করবাবু বলেন, “আপনারা জানেন দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকা আটকে, শিলিগুড়ির উন্নয়নের কাজে যে প্রকারের বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে শাসক দলের পক্ষ থেকে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে, প্রয়োজনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন অবস্থান এবং প্রয়োজনে অনশনে বসতে বাধ্য হবো।”