প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর লাগু হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের নেতাদের হুমকি, হুঁশিয়ারি বাড়তে শুরু করেছে। কেউ হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপি এই সমস্ত কথাকে গুরুত্ব দিতো না। কিন্তু তৃণমূলকে সব ব্যাপারে ছেড়ে দিলে যে তারা আরও বেশি প্রশ্রয় পেয়ে যাবে, তা খুব ভালো মতই উপলব্ধি করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এসআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রীতিমত বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসেন তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক। যার পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। তবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে এবার সেই তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের শরণাপন্ন হলেন বিজেপি নেতা।
প্রসঙ্গত, এসআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল এতটাই আতঙ্কিত হতে শুরু করেছে যে, তাদের নেতারা যা খুশি তাই বলতে শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি সভা থেকে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। সম্প্রতি বিজেপি কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক। পরবর্তীতে পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই দিকে তাকিয়ে ছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ যখন সেই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তখন সেই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ যাতে গ্রহণ করা হয়, তার জন্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলো গেরুয়া শিবির।
জানা গিয়েছে, এদিন তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিকের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান আদালতে যান বিজেপি নেতা সঞ্জয় দাস। যেখানে তৃণমূল বিধায়ক যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে গিয়ে বিচারের শরণাপন্ন হন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এতদিন তৃণমূল নেতারা এসআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে ভেবেছিলেন, তারা যা খুশি তাই বলতে পারেন। কিন্তু এবার বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতার এই কড়া পদক্ষেপ শাসক দলকে যথেষ্ট চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।