প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেতারা প্রতিনিয়ত দাবি করে আসছেন যে, রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু নেই। আজকেও যদি ভোট হয়, তাহলে বিজেপির যে কয়েকটি আসন আছে, তারা সেই কয়েকটি আসনও পাবে না, তারা শূন্য হয়ে যাবে। এমনকি এসআইআরের এত বিরোধিতা করার পরেও তৃণমূল দাবি করছে যে, এসআইআর হয়ে উল্টে নাকি বিজেপির ক্ষতি হয়েছে। তাহলে বিজেপির কি ক্ষতি হয়েছে, সেটা তো বিজেপি বুঝবে। কিন্তু যে তৃণমূলের নেতারা প্রতিনিয়ত দাবি করেন যে, রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু নেই, যারা বলেন যে, এখনই নির্বাচন হলে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে, সেখানে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, যেই নির্বাচনী কেন্দ্রের সাংসদের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে কেন আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি? তাহলে কি বিজেপির সেই শক্তি রয়েছে, সেই কেন্দ্রে লড়াই দেওয়ার মত? আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে যদি বিজেপি সেই শক্তি রাখে, তাহলে সারা রাজ্যে বিজেপি কতটা শক্তিশালী, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। আর যদি বিজেপি শক্তিশালী নাই হবে, তাহলে সেখানে বিজেপিকে মারা হচ্ছে কেন? কেন রক্তাক্ত হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা? এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই বিজেপি নেতা কর্মীদের দম রয়েছে, তাই তারা মার খাচ্ছেন বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূল যা খুশি তাই বলতে পারে। কিন্তু রাজ্যে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী। আর সেই কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান, তার সংসদীয় কেন্দ্রেও বিজেপিকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। আর এটাই প্রমাণ করে যে, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে কতটা শক্তিশালী।
ইতিমধ্যেই বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের উজ্জীবিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি দিকে তারা এই জয় সেলিব্রেশন করছে তবে বিভিন্ন জায়গায় এই জয়ের সেলিব্রেশানে পুলিশের বাধা আসছে এবং বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস নেমে আসছে বলে অভিযোগ যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের এক জায়গায় বিজেপি কর্মীরা রক্তাক্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, যেখানে তৃণমূল দাবি করে যে, রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু নেই, সেখানে যে জায়গা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, সেই ডায়মন্ডহারবারে কেন আক্রান্ত হতে হচ্ছে বিজেপি নেতা কর্মীদের? যেখানে বিজেপি বলে কিছু নেই, সেখানে তৃণমূল বিজেপির ওপর আক্রমণ করতে আসবে কেন?
এদিন ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণের প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় তার জবাব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “কেন মারছে? ভয় পাচ্ছে বলে মারছে। ডায়মন্ডহারবারের মত লোকসভা, যে লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চুরি করে ৭ লক্ষ ভোটে জেতে, সেই লোকসভা কেন্দ্রে যদি বিজেপির কর্মীদের মারতে হয়, তার মানে কি! বিজেপির দম আছে, তাই মারছে। প্রত্যেকটা রক্ত বিন্দুর হিসাব আমরা নেব। একজনও বাদ যাবে না।”