প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সামনেই ২০২৬ এর নির্বাচন। তবে সেই নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে প্রতিনিয়ত ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপিকে যারা ভালোবাসেন, যারা বিজেপির কর্মী, তারা বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে লড়াই করছেন, বিজেপির প্রত্যেকটি কর্মী সমর্থক এবং নেতারা যদি সেভাবে লড়াই করতেন, তাহলে অনেক আগেই সাফল্য পেয়ে যেত দল। তবে অনেকের মধ্যেই আবার প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, শুভেন্দু অধিকারী তো লড়াই করছেন, প্রতিনিয়ত মানুষের দাবিকে সামনে রেখে রাস্তায় নামছেন। তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছেন। কিন্তু বিজেপির সংগঠন কি মজবুত রয়েছে? শমীক ভট্টাচার্য নতুন রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত বিজেপির কেন রাজ্য কমিটি গঠন হলো না? সামনেই তো পুজো। তারা শুধুমাত্র কেন বৈঠকেই সীমাবদ্ধ রয়েছে? কেন তারা রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে পারছে না? তবে সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমালোচকদের মুখে যেমন ঝামা ঘষে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, ঠিক তেমনই শুভেন্দু অধিকারীর যে লড়াই, তার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে যে, বিজেপির রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্যের অভাব দেখা যাচ্ছে। তবে বিজেপির অন্দরের খবর যে এমন কথা বলছে, তেমনটা কিন্তু নয়। বিজেপি কিভাবে তাদের রাজ্য কমিটি গঠন করবে, সেটা তারাই চূড়ান্ত করবে। তবে রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে যে একটা প্রস্তুতি ভেতরে ভেতরে চলছে, তা বলাই যায়। তবে সেই রাজ্য কমিটি কবে গঠন হবে, এদিন সেই প্রশ্নই করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। যার উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর যে লড়াই, তাকে আরও বেশি করে মান্যতা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে, কিন্তু এখনও রাজ্য কমিটি কেন ঘোষণা হচ্ছে না? তা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আরে আমাদের পার্টি তো ব্যান্ড পার্টি নয়। পলিটিক্যাল পার্টি। রাজনৈতিক দল, হরিনাম সংকীর্তনের দল নয়। পার্টি রাস্তায় আছে। পার্টি পার্টির মত কাজ করছে। বিরোধী দলনেতাকে দেখছেন। প্রতিদিন তার দৃশ্যমানতা। প্রত্যেকদিন লড়াইয়ের ময়দানে আছেন। পার্টি শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, রাজনৈতিক বলতে যা বোঝায়, তার বাইরেও পার্টি কর্মসূচি করছে। পার্টি তো রাস্তায় আছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তার আগে তাদের কমিটি নিয়ে সকলের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শমীক ভট্টাচার্যের এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে বিজেপি কর্মীদের কাছে অত্যন্ত সুখকর বার্তা বয়ে আনবে। কেননা দলের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, শুভেন্দু অধিকারীকে নাকি দলের একটা অংশ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি নাকি যেভাবে চাইছেন, সেভাবে লড়াই করতে পারছেন না। কিন্তু শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের রাজ্য কমিটি গঠনের প্রশ্নের উত্তরে যেভাবে সেই শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইকে সাধুবাদ জানালেন, তাতেই স্পষ্ট যে, এবারে বঙ্গ বিজেপি ঐক্যবদ্ধ হয়েই ২৬ এর নির্বাচনে তৃণমূলের বিসর্জন দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আর রাজ্য সভাপতির সেই বার্তায় অত্যন্ত উজ্জীবিত গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।