প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল রাজ্য বিধানসভায় যে হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে রীতিমত চমকে উঠেছিল গোটা রাজ্য। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বিরোধিতা করে পাল্টা বিজেপির শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করলেও বিজেপির সমস্ত বিধায়করা যেভাবে গতকাল প্রতিবাদ করেছিলেন, তাতে মাঝেমধ্যেই মেজাজ হারিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই সমস্ত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে অনেকেই বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠিন বিপদের মুখে পড়েছেন। বিজেপি বিধায়কদের এই সমবেত প্রতিবাদ তিনি এর আগে দেখেননি। তাই গতকালের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভয় পেয়ে তিনি এমন কিছু বলে ফেলেছেন, যা তাকেই পাল্টা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে মাথার ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিধানসভার ভেতরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি বিধায়করা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, কি করে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হয়। ওর কথা বাদ দেন। ও মাথার ডাক্তার দেখাক। গোটা ভারতবর্ষের লোক বলছে, ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে, প্রত্যেকে বলছে। আর আমরা ওনাকে বুঝিয়ে দিয়েছি, এই বাংলাদেশের মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর জন্য এই বাংলা-বাঙালির খেলা কেউ বিশ্বাস করছে না।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতকাল রাজ্য বিধানসভায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে সত্যিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছিলেন। তিনি এমন কিছু বক্তব্য রেখেছেন, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবতে পারেননি যে, শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার ভেতরে না থাকলেও এত জোরালো প্রতিবাদ হতে পারে। তাই সেই প্রতিবাদ দেখে তিনি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে কোনো কুল কিনারা পাচ্ছেন না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
