প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মত করেই উপলব্ধি করেছে যে, তারা এসআইআর সঠিকভাবে হলে আর নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবে না। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অন্তত তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। কেননা বিরোধীদের যুক্তি যে, এসআইআর সঠিকভাবে হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। এতদিন এই সমস্ত ব্যক্তিদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল একের পর এক নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছে। তাই এদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের ক্ষমতায় টিকে থাকা মুশকিল জন্যেই তারা এখন বুথ লেভেল অফিসার এবং বিএলএ ২ হিসেবে যারা বিরোধী দলের প্রতিনিধি থাকবেন, তাদের ওপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ করা বুথ লেভেল অফিসাররা অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর তার মাঝেই এবার গোটা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ৪ তারিখ থেকে বুথ লেভেল অফিসারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা। তবে তার আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় আসছে হুমকি, হুঁশিয়ারি। স্বাভাবিকভাবেই বুথ লেভেল অফিসাররা, যারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাইছেন, তারা আদৌ কাজ করতে পারবেন তো! তাদের ওপর কোনোরকম হামলা হবে না তো, এই প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই রয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই বিএলওদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আর সেই সবের মধ্যেই এবার গোটা বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন বিএলওদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার যে অভাব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিএলওদের মধ্যে সবথেকে বেশি যে বিষয়টি কাজ করছে, সেটা হচ্ছে, অসুরক্ষা। কিছু মহিলা বিএলওদের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে যে, লোকের বাড়ি যাব কি করে! কারণ এই বিএলও এবং এসআইআর নিয়ে অযাচিত বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক ডিবেট তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা বাংলার আসল বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”