প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। তবে এই প্রক্রিয়ায় প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। কিছু ক্ষেত্রে তারা নিরপেক্ষতা সহকারে কাজ করলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে আবার তৃণমূলের ভয়ের কাছে মাথা নত করতে দেখা যাচ্ছে বিএলওদের। আবার অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিএলওরা রীতিমত নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে তৃণমূলের কথামতই স্বেচ্ছায় কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর যারা একেবারে তৃণমূলের দলদাস হয়ে তাদের কথা মত কাজ করছেন, এবার সেই সমস্ত বিএলওর বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ডবল এন্ট্রি ভোটারদের নামের তথ্য এদিন কমিশনের দপ্তরে জমা করে এসেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই বিএলওরা বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রেই বিরোধীদের কাছে অভিযোগ এসেছে যে, বিএলওরা অনেক জায়গায় তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছেন। এমনকি নিরপেক্ষতা ভুলে গিয়ে তৃণমূল যেভাবে বলছে, তারা সেভাবেই কাজ করছেন। যার ফলে তাদের নিরপেক্ষতা যেমন লঙ্ঘিত হচ্ছে, ঠিক তেমনই এই সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়ছে। তাই যারা একেবারে তৃণমূলের দলদাস হয়ে রাজনৈতিক আনুগত্য নিয়ে কাজ করছেন, এবার সেই সমস্ত বুথ লেভেল অফিসারদের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে দরবার করে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে বিএলওদের তিনটি অংশ রয়েছে বলেই দাবি করলেন তিনি।
এদিন সিইও দপ্তর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বিএলওদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিএলওদের তিনটি অংশ আছে। মেরুদন্ড সোজা রেখে কাজ করছেন, একটা বড় অংশের। তাদের আমরা হ্যাটস অফ করি। আর একটা অংশ আছে, ভয় সমঝোতা করে নিচ্ছেন। আরও একটা অংশ আছে, যারা ধর্মীয় কারণ এবং রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে সহযোগিতা করছেন। তবে এই সংখ্যাটা ৮০ হাজার ৫০০ এর মধ্যে ৫ হাজারের বেশি হবে না। এটা তদন্ত করে, যে কয়টা আসবে….কিছু জিনিস তো ভিডিওতে এসেছে। তদন্তের একটু কিছু নেই। তাহলে ভিডিওটা ফরেনসিক করে সেটা সত্য না মিথ্যা, তা বের করে নিলেই বোঝা যাবে।”