প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ফর্ম দিতে পৌঁছে যাচ্ছেন বিএলওরা। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছে যে, সেই বিএলওদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। একে তাদের কাজের চাপ রয়েছে। তার মধ্যে তাদের ভুল তথ্য দিতে, মৃত ভোটারদের জীবিত দেখাতে বিভিন্ন রকম চেষ্টা শাসক দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেক জায়গায় প্রভাবিত হয়ে তারা চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক জায়গায় তারা ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলেও খবর আসছে। আর সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তৃণমূলের এজেন্টদের চাপ এবং ভয়ের কাছে যাতে কোনো বিএলও মাথা নত না করেন, তারা যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন, সেই বার্তা দিয়ে তাদের সতর্ক করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতেই সবথেকে বেশি অভিযোগ আসছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোথাও তৃণমূলের এজেন্টরা বিরোধী দলের যাতে কোনো এজেন্ট না থাকেহ তার জন্য তাদের ভয় দেখাচ্ছেন। আবার অনেক জায়গায় যে সমস্ত বিএলওরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন, তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তর করার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। কেননা এই রাজ্যের শাসক দল খুব ভালো মতই জানে যে, এসআইআর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি হবে। যেখানে রোহিঙ্গা বাংলাদেশি, মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটারদের কোনো নাম থাকবে না। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বেশিরভাগ জায়গাতেই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যাতে এই অবৈধ ভোটারদের নাম থাকে। আর সেই চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসাররা বলেই অভিযোগ। যার ফলে এসআইআর প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে কাজকর্ম হচ্ছে না বলেও আশঙ্কা করছেন একাংশ। আর সেই ব্যাপারেই এবার বিএলওদের চাকরির সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা উচিত বলেই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “প্রথমত, আপনি ভুল তথ্য দিলে ইলেকশন কমিশনের সফটওয়্যার নেবে না। আর রিলেশন লেখা আছে। এরা কাকা-কাকি, চাচা চাচির মধ্যে ঢুকতে গিয়েছিল। কিন্তু বাবা, মার নাম বাদ দিয়ে অন্য কারও নাম দিলেই তা বাউন্স করবে। আর মৃত নাম রেখে দিলে নির্বাচন কমিশন আলাদা তথ্য সংগ্রহ করেছে। সেই বিএলও সাসপেন্ড হবেন, পাশাপাশি গ্রেপ্তার হবেন। সুতরাং চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি প্রথম থেকে বলেছিলাম, ৫০ শতাংশ কাজ হবে। কিন্তু এখন বলছি, ৮০ শতাংশ কাজ হবে এবং চার ক্যাটাগরির মানুষদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।”