প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর যারা বিএলও হিসেবে প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের নিরপেক্ষতার দিকে বারবার করে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিএলওরা শাসকদলের পদাধিকারী এবং সক্রিয় সদস্য বলেও অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে তারা অভিযোগও করেছেন। আর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নিয়েছে কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশন যখন সেই সমস্ত বিএলওদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, তখনই তারা সুর বদলাতে শুরু করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনের কাছে এই সমস্ত তথ্য বিরোধী দলনেতা হিসেবে যে শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে দিচ্ছেন, তার চাপের কাছে নতিস্বীকার করেই যে বিএলও হতে গিয়ে অনেকে তৃণমূল যোগের কথা অস্বীকার করছেন, এদিন সেই কথাই উল্লেখ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি গোটা বিষয়ে তাদের যে নজরদারি থাকবে, সেই কথাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৪ তারিখ থেকে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেবেন। সেক্ষেত্রে এসআইআরের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হবে সেই দিন থেকেই। তবে বিএলওরা যদি নিরপেক্ষ না হন, তাহলে সমস্যা হতে পারে। তাই বেশ কিছু বিএলওদের তথ্য ফাঁস করে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে বিজেপি। অনেক ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীও সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকজন বিএলওর তথ্য তুলে ধরে এরা শাসকদলের সক্রিয় সদস্য বলেই দাবি করেছেন। আর নির্বাচন কমিশন সেই সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেই তারা সুর বদলাতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ কমিশনের রিপোর্টের কাছে নতি স্বীকার করে বিএলও হতে গিয়ে তারা শেষ পর্যন্ত যাতে বিপদে পড়তে না হয়, তার জন্য তৃণমূল যোগের কথা পর্যন্ত অস্বীকার করছেন বলেই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ থাকা নিয়ে তিনি বলেন, “বিএলও তো করেছে। নির্বাচন কমিশন রিপোর্টও চাইছে। রিপোর্টে বলে দিচ্ছে, আমরা তৃণমূল করি না। এখন বিএলও হতে গিয়ে ঘোষণা করছে, আমরা তৃণমূল করি না। নজর আমাদের থাকবে, ব্যবস্থা আমরা নেব। আর বিএলওদের স্পেস খুব কম। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, তাতে ফাঁদ কেটে পালানোর ব্যবস্থা নেই।”