প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ ১০ টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সাধারণ ধর্মঘট। সকাল থেকেই এই ধর্মঘটকে সফল করতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় মিছিল, মিটিং শুরু করেছে বাম, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলো। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গায়ের জোরে যাতে কেউ ধর্মঘট করতে না পারে, তার জন্য রাস্তায় সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ছেন ধর্মঘটীরা। আর এই পরিস্থিতিতে সেই ধর্মঘটীদের এক চূড়ান্ত অসভ্যতা সামনে আসতেই রীতিমত নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই মালদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বাম কর্মী সমর্থকরা। তবে চাচোলে চূড়ান্ত উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যেখানে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠে ভয়ংকর অভিযোগ। জানা গিয়েছে, জোর করে এলআইসি অফিস বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ধর্মঘটীর বিরুদ্ধে।
অনেকেরই প্রশ্ন, বাম, কংগ্রেস বা এই ধর্মঘটকে যারা সমর্থন করছেন, তারা তো দাবি করছেন যে, মানুষ নাকি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ধর্মঘটে শামিল হচ্ছেন। পুলিশ যেখানেই তাদের বাধা দিচ্ছে, ধর্মঘটীরা বলছে যে, মানুষ তাদের পাশে রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মানুষ যখন তাদের প্রয়োজনে এলআইসি অফিসে যাচ্ছেন, তখন সেই এলআইসি অফিস গায়ের জোরে বন্ধ করে দেওয়া কোন সংস্কৃতির পরিচয়? তাহলে তো জোর করে ধর্মঘট পালন করতে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হচ্ছে! এই ধরনের গায়ের জোর দেখিয়ে কি রাজ্যে শূন্য হয়ে যাওয়া বাম, কংগ্রেস বিন্দুমাত্র লাভ করতে পারবে? এর ফলে তো ধর্মঘট করতে গিয়ে সেই ধর্মঘটীদের ভূমিকা নিয়েই মানুষের মধ্যেই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।