প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বঙ্গ বিজেপিতে ক্রমশ কি কোনঠাসা হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ? দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাতের পরেই, বিজেপির সঙ্গে তার দূরত্ব ক্রমশ প্রকট হতে শুরু করে। তিনি দলের মধ্যে গুরুত্ব চাইলেও দল যে তার সঙ্গে দূরত্ব চাইছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় অনেকের কাছেই। আর সেইসবের মধ্যেই এর আগে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এলেও দিলীপ ঘোষ সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন না। আর আজ একদিকে প্রশাসনিক সভা এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক সভা করতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সভাতেও আমন্ত্রণের তালিকায় নেই দিলীপ ঘোষের নাম। আর নরেন্দ্র মোদী যখন রাজ্যে আসছেন, যখন তার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা বঙ্গ বিজেপি, ঠিক তখনই সাত সকালেই বাংলা ছাড়লেন সেই দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, এদিন নরেন্দ্র মোদী আসার অপেক্ষায় যখন গোটা বঙ্গবাসী প্রহর গুনছে, ঠিক তখনই দিলীপ ঘোষের পদক্ষেপ জল্পনা সৃষ্টি করেছে। একেই তো তিনি এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত নন। যার ফলে তার বিজেপিতে ভূমিকা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন যে, দিলীপ ঘোষের চ্যাপ্টার বিজেপিতে ক্লোজড হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই তাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। আর এই সমস্ত কথা যে দিলীপবাবুর কাছেও যথেষ্ট অস্বস্তিদায়ক, তা তিনিও বুঝতে পারছেন। আর সেই কারণেই কি প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসার আগেই অন্য কোনো কাজের বাহানা দিয়ে ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন এই বিজেপি নেতা?
এদিন দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই খবর পাওয়া যায় যে, তিনি ব্যাঙ্গালোরে যাচ্ছেন। কিন্তু আজকের দিনটাই তিনি ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার জন্য বেছে নিলেন কেন? তার এই সফর কি পূর্বপরিকল্পিত, নাকি আজকে নরেন্দ্র মোদী আসছেন, তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তার জন্যই প্রেস্টিজে তিনি রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন? কেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছেন না? ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার আগে দিলীপ ঘোষ বলেন, “নরেন্দ্র মোদী কি বলছেন, তা শুনতে সভায় থাকার তো দরকার নেই। মোবাইলেও শোনা যাবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিলীপ ঘোষ বুঝতে পেরেছেন যে, রাজ্যে থাকলে তাকে নিয়ে আরও বেশি চর্চা হতে পারে। তিনি বিজেপিতে গুরুত্বহীন, তাই তাকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলো না, এই সমস্ত বিষয় প্রকট হতে পারে। আর সেই কারণেই বিতর্ক থেকে দূরে সরতেই তিনি তড়িঘড়ি নরেন্দ্র মোদী আসার দিনেই কিছুটা অভিমানী হয়ে ব্যাঙ্গালোরে চলে যাচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।