প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের একটি অংশ যখন বন্যা বিধ্বস্ত, যখন সেখানে দুর্গতরা হাহাকার করছেন, তখন নিজের দলের জনপ্রতিনিধিদের সেখানে না পাঠিয়ে কেন ত্রিপুরায় পাঠালেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এবং গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ত্রিপুরায় বিজেপির পক্ষ থেকে নাকি তাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে! আর তার জন্য নাকি তাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছে! এইরকম যুক্তি তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের কিছুই নেই, সেখানে তাদের পার্টি অফিস কেন কেউ ভাঙচুর করবে? আসলে তৃণমূল বুঝতে পারছে যে, উত্তরবঙ্গে তারা যে অসভ্যতা, তারা যে বর্বরোচিত হামলা বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর করেছে, তাতে তারা অত্যন্ত ব্যাকফুটে। তাই গোটা বিষয়টিকে অন্যভাবে ঘুরিয়ে দিয়ে বিজেপিকে যাতে চাপে রাখা যায়, তার জন্য ত্রিপুরায় তাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছে বলে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। যার মধ্যে কুনাল ঘোষ থেকে শুরু করে সায়নী ঘোষ, বিরবাহা হাসদারা রয়েছেন। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

আজ বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যের একটি অংশে যখন দুর্গতরা হাহাকার করছেন, তখন সেখানে নিজের জনপ্রতিনিধিদের না পাঠিয়ে কেন ত্রিপুরায় পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সেখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছে বলে যারা প্রতিবাদ করতে গিয়েছেন, তারা কেন নিজের রাজ্যের সাধারণ মানুষের পাশে নেই? কেন উত্তরবঙ্গে বন্যা দুর্গতদের পাশে সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের পাঠানো হলো না? এবার তা নিয়েই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, “ড্রামা করতে গিয়েছেন। কারা গিয়েছেন? সায়নী ঘোষ। অভিনয় করা কাজ, অভিনয় করতে গিয়েছেন। ওদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে নাকি? কোনো সম্পর্কই নেই। ত্রিপুরায় তৃণমূলের কি আছে? কিছুই নেই। ওখানে সিনক্রিয়েট করতে গিয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব যে, বন্যা তো ত্রিপুরায় হয়নি, উত্তরবঙ্গে হয়েছে। তাই এদেরকে যদি পাঠাতেই হয়, তাহলে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠান। এখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকুক। খিচুড়ি রান্না করুক, চাল, ডাল দিক।”