প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন ধরে এসআইআর প্রক্রিয়া চললেও, বেশ কিছু জায়গায় গাফিলতি চলছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। অনেক জায়গাতেই বিএলওরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। তবে বেশ কিছু জায়গায় যারা বিএলও হিসেবে কাজ করছেন, তারা তৃণমূলের কথা অনুযায়ী চলছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল বিরোধীদের পক্ষ থেকে। এমনকি সর্ষের মধ্যে থেকে ভূতও বেরিয়ে এসেছিল। যেখানে বারুইপুর পূর্বের ৯৪ নম্বর বুথের এক বিএলওর সঙ্গে শাসক দলের যোগ থাকার কারণে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও যে অনিয়ম হয়েছে, এবার তার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হলো কড়া সিদ্ধান্ত।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ায় কড়া নজরদারি রেখেছেন নির্বাচন কমিশন। কোথাও বিন্দুমাত্র গাফিলতি হলেই সাথে সাথে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যেই বারুইপুর পূর্বের এক বিএলওর সঙ্গে শাসকদলের যোগ থাকার অভিযোগে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই উঠেছে আরও মারাত্মক অভিযোগ। যেখানে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সেই অভিযুক্ত বিএলওর সই রয়েছে্ আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও কি করে তিনি সই করছেন? আর নতুন যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কেন তিনি এই ব্যাপারে নজরদারি রাখেননি? আর সেই ব্যাপারেই এবার ২ জন বিএলওর বিরুদ্ধেই নেওয়া হলো কড়া পদক্ষেপ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বারুইপুর পূর্বের দুইজন বিএলওকে শোকজ করা হয়েছে। যেখানে DEO এর পক্ষ থেকে ৯৪ নম্বর বুথের ২ জন বিএলওকে শোকজ করা হয়েছে। মূলত, একজন বিএলওকে রাজনৈতিক যোগ থাকার কারণে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেও কি করে তার সই রয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই দুজন বিএলাওকে শোকজ করা হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।