প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে হিন্দুরা আজ তাদের শক্তি দেখাচ্ছে। হিন্দুরা আজ মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা রেখে জানান দিচ্ছে যে, কোনো উগ্র মৌলবাদী শক্তির কাছে তারা মাথা নত করতে রাজি নয়। এই বাংলাকে, এই ভারতবর্ষকে যদি খন্ড খন্ড করে কেটে দেওয়ার হুশিয়ার কেউ দেয়, তাহলে জেগে উঠবে হিন্দু সনাতনী সমাজ। এক ইঞ্চি জায়গা যে কাউকে ছাড়া হবে না, তা আজ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে লাখো লাখো হিন্দু সনাতনীদের হরিবোল ধ্বনি এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা শহর কলকাতা। শুধু শহর কলকাতা নয়, গোটা রাজ্য এবং গোটা দেশ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের মুখোমুখি। যেখানে প্রায় ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সংখ্যাটা যে ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে, তা ব্রিগেড ময়দান ভরে যাওয়ার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রচুর হিন্দু সনাতনীরা দলমত নির্বিশেষে নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য আজ সমবেত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। সকলেই অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন গীতা পাঠ শুরু হয়।

প্রায় অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিলো, এই ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের। এর আগে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ১ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ হয়েছিল ব্রিগেড ময়দানে। তবে এবার সেই পরিধি বাড়িয়ে ৫ লক্ষের সংখ্যা করা হয়েছে। সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে এই মহতী আয়োজনে সামিল হয়েছেন সমস্ত হিন্দু সনাতনীরা। এমনকি সমাজের প্রত্যেক ধর্মের মানুষকেও এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কারণ, গীতা জীবনের কথা বলে। গীতা দেহ, মনকে শুদ্ধিকরণের কথা বলে। তাই সেই গীতা পাঠের মূল পর্ব শুরু হওয়ার আগে প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়ে গেল। যেখানে সকলের মুখে বৈদিক মন্ত্র যেমন উচ্চারিত হলো, ঠিক তেমনই একটাই ধ্বনি গোটা ব্রিগেড ময়দান থেকে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, “হরে কৃষ্ণ হরে হরে, গীতা পাঠ ঘরে ঘরে।”