প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ ধর্মতলায় সংশোধনী ওয়াকফ বিল সহ এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। তৃণমূলেরও এই ইস্যুতে প্রতিবাদ রয়েছে। কিন্তু আইএসএফ যখন রাজ্যের বুকে ধর্মতলায় প্রতিবাদ করছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার পুলিশ দিয়ে কেন তাদের বাধা দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। তবে পরিস্থিতি যত এগোতে থাকে, ততই সমস্যা বাড়তে থাকে। যেখানে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ জোর করে তাকে আটক করে বলে অভিযোগ। আর লালবাজারে নিয়ে আসার পরেই এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

এদিন মেট্রো চ্যানেলের সামনে প্রতিবাদে নামে আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা।‌ যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও। তবে পুলিশের বাধাদান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর তারপরেই পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের পাশাপাশি বচসায় জড়িয়ে পড়েন নওশাদ সাহেবও। এমনকি যখন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, যখন তাকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছিল, ঠিক তখনই আইএসএফ বিধায়ক দাবি করেন, পুলিশ তার বুকে ঘুসি মেরেছে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইতিমধ্যেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। আর লালবাজারে আসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই আইএসএফ বিধায়ক। আইএসএফের কর্মী সমর্থকদের দাবি, নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ হেনস্থা করেছে, তার বুকে ঘুসি মেরেছে। আর সেই কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যে আন্দোলন করতে গেলেই কেন পুলিশ বাধা দেবে! আর কেনই বা একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে পুলিশ এইরকম ব্যবহার করবে, তা নিয়ে প্রশাসনের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেছে আইএসএফ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।