প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। তৃণমূল এই এসআইআরের বিরোধিতা করে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে শুরু করেছে যে, বিজেপি বৈধ ভোটারদের নাম বাতিল করার একটা চক্রান্ত করছে। তবে বিজেপি দাবি করছে, এসআইআরের মধ্যে দিয়ে অবৈধ ভোটার, মৃত ভোটার, বাংলাদেশি রোহিঙ্গা এবং ডবল এন্ট্রিদের নাম বাদ যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই একটা প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে যে, যারা ওপার থেকে আসা হিন্দু শরণার্থী, তাদের কি হবে? বিজেপি দাবি করছে, তারা সকলেই যেন সিএএ ক্যাম্পে আবেদন করে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার এই সিএএ ক্যাম্পে যাতে কেউ আবেদন না করেন, তার জন্য সকলকে বোঝাতে শুরু করেছেন। আর এসবের মধ্যেই যদি সত্যিই ওপার থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুরা ক্যাম্পে আবেদন করেন, তাহলে কি তারা তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন? গতকাল সিইও দপ্তর থেকে বেরিয়ে সেই ব্যাপারেই বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআর নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তৃণমূল দাবি করছে, এসআইআর সকলের জন্যই বিপজ্জনক। তাড়াহুড়ো করে এই প্রক্রিয়া করে বিজেপি ঘুর পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, এসআইআর করে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর যারা হিন্দু শরণার্থী, তারা নাগরিকত্ব পাবেন সিএএ ক্যাম্পে আবেদন করার মধ্য দিয়ে। তবে যখনই এসআইআর শুরু হয়েছে, তখন নির্দিষ্ট সময়ে এই সিএএ ক্যাম্পে আবেদন করার পর কি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু শরণার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে? এই সংশয় অনেকের মধ্যেই রয়েছে। আর সেই বিষয়েই গতকাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে বেরিয়ে বড় আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

গতকাল সিইও দপ্তরে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসআইআরে কাদের নাম বাদ যাবে, তা নিয়ে বার্তা দেন তিনি। পাশাপাশি যে সমস্ত হিন্দু উদ্বাস্তু এবং শরণার্থীরা সিএএ ক্যাম্পে আবেদন করবে, তাদের ভবিষ্যৎ কি, তা নিয়েও মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, চার দফার নাম যাতে কোনোভাবেই না থাকে। তার মধ্যে রয়েছে, মৃত ভোটার, ডবল ট্রিপল এন্ট্রি, ভুয়ো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, যার গোদা বাংলা হচ্ছে, বাংলাদেশী মুসলিম বা রোহিঙ্গা, এটা না থাকে। আর যাতে হিন্দু শরণার্থী, যারা সিএএতে আবেদন করেছেন, তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এমএইচের সঙ্গে কথা বলে, সিটিজেনশিপ যেহেতু ভারত সরকারের বিষয়, তার দ্রুত নিষ্পত্তি ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে করুক।”