প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ কতটা দলদাস হয়ে কাজ করতে পারে, কিভাবে তারা সাংবিধানিক সংস্থা পর্যন্ত অবজ্ঞা করে শুধুমাত্র তৃণমূলকে যা খুশি তাই করার অধিকার দিতে পারে, তার আরও একটা প্রমাণ সামনে চলে এলো। যেখানে সিইও অফিস লাগোয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে, সেখানে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে তৃণমূলের মধ্যে যারা বিক্ষোভ করেছিলেন, তারা আজ সেই সিইও অফিসে শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছতেই চূড়ান্ত অসভ্যতা শুরু করেন। শুভেন্দুবাবুকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেন। তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এই সিইও অফিসের সামনে এইভাবে মাইক লাগিয়ে কি বিক্ষোভ করা যায়? এটা যদি রাজ্যের বিরোধী দল করতো, তাহলে কি পুলিশ তাকে অনুমতি দিতো? যে রাজ্যের পুলিশ সামান্য একটা সভা আর কর্মসূচি করতে শুভেন্দু অধিকারীকে অনুমতি দেয় না এবং বারবার সেই ব্যাপারে অনুমতি নিতে আদালতে যেতে হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে, সেই রাজ্যের পুলিশ কেন এই ক্ষেত্রে সক্রিয় নয়? সিইও দপ্তরে নিজেদের দাবি-দাওয়া পেশ করে আসার পর সাংবাদিক বৈঠকে সেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি। তাদের একটাই বক্তব্য যে, এই রাজ্যের পুলিশ সমস্ত ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়। যেখানেই বিরোধীরা বা প্রতিবাদীরা তাদের কর্মসূচি করবে, সেখানেই পুলিশ বাধাদান করে। কিন্তু প্রশ্নের বিষয় যে, এই রাজ্যের পুলিশ কেন তৃণমূলের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম রাখে? শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলকে খুশি রাখতে হবে জন্যই কি তারা আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক কর্মকাণ্ড করছে? যেখানে সিইও দপ্তরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, সেখানে তৃণমূলের নেতারা বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে মাইক টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন, অথচ তাকে কেন প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ? কেন তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে না? কেন সেই মাইক বন্ধ করা হচ্ছে না? এটা যদি বিরোধীদের কোনো কর্মসূচি হতো, তাহলে কি পুলিশ এইভাবে নিষ্ক্রিয় থাকতো? সিইও দপ্তরে নিজেদের দাবি পেশ করার পর সেই অভিযোগ তুলেই সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সিইও দপ্তরে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়করা প্রবেশ করার সময় সেই বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরবর্তীতে ভেতরে গিয়ে স্বয়ং সিইওর সামনে সেই বিক্ষোভের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এখানে যারা বাইরে রয়েছে, মমতার পুলিশ ওদেরকে ব্যবস্থা করে রেখেছে। আমি আসার আগে ওরা নীল সাদা মঞ্চে ছিলো, ওদেরকে পুলিশ নিয়ে এলো রাস্তার ওপরে। এই মাইকের অনুমোদন দেখাতে পারবেন? এটা ১৪৪ ধারা রয়েছে। এখানে সাত দিন ধরে মাইক বাজানো যায়? আমাকে ৯৭, ৯৮ বার কোর্টে যেতে হয়েছে। এখানে ডিসি সেন্ট্রাল ছিলো, যিনি অভয়ার ঘটনার সময় সাংবাদিক সম্মেলন করে কি ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি ওই গেটে দাঁড়িয়ে সবাইকে বাধা দিচ্ছেন। সিইওকে আজকে নিচে নামতে হয়েছে। আপনারা এটা দেখান ভালো করে।”