প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই ইডির পক্ষ থেকে চাটশিট দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে। আজ ইডির পক্ষ থেকে তার জামিনের যে বিরোধিতা করা হয়েছিল, সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক, সেই মামলা শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ২০ তারিখ সেই মামলার শুনানি হবে বলে খবর। তবে গোটা রাজ্য অপেক্ষা করছে যে, কি রায় দেয় আদালত। বিরোধীরা দাবি করছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন চার্জশিট দিয়েই দিয়েছে, তখন আর কিছু বলার অপেক্ষা নেই। দুর্নীতি হয়েছে, আর সেই দুর্নীতির জন্য জেলে যেতেই হবে। তবে শেষ ভরসা আদালত। তাই আদালতের নির্দেশের দিকে সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন। আর তার মাঝেই গোটা বিষয় নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর সিনেমার একটি গান উল্লেখ করে চন্দ্রনাথ সিনহাকে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে গোটা রাজ্যজুড়েই বিরোধীরা “চোর ধরো, জেল ভরো” বলে স্লোগান দিতে শুরু করেছেন। তাদের একটাই বক্তব্য, এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে যত নিয়োগ হয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই দুর্নীতি হয়েছে। আর বড় বড় মাথারা সেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। রাজ্যের অনেক মন্ত্রীর নাম রয়েছে। তাই তাদের প্রত্যেককেই জেলে যেতে হবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর তার মাঝেই আজ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই তার জামিনের মামলার যে শুনানি, তা আজ হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে গিয়েছে। যার ফলে আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে যে, শেষ পর্যন্ত চন্দ্রনাথ সিনহা জামিন পান, নাকি শ্রীঘরে যেতে হয় তাকে! আর এসবের মধ্যেই সুকান্ত মজুমদার একেবারে কড়া ভাষায় রাজ্যের এই মন্ত্রীকে আক্রমণ করার পাশাপাশি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন।

এদিন চন্দ্রনাথ সিনহার বিষয় নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “চন্দ্রনাথ সিনহার নাম আসবে, এটা তো স্বাভাবিক। তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা মন্ত্রী এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। অনেকেই প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। অনেকের নাম হয়ত আসেনি এখনও। ভবিষ্যতে আসবে। চন্দ্রনাথ সিনহার নাম এসে গিয়েছে। চন্দ্রনাথ সিনহাকে অনেকের চাঁদু বলে চেনে। আমরা ছোটবেলায় মিঠুন চক্রবর্তীর সিনেমায় একটি গানে শুনেছিলাম, ও চাঁদু রে, দেখবে কেমন তুমি খেল! এবার খেল দেখবে চাঁদু।”