প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রতিবাদী সুমন বিশ্বাস। দীর্ঘদিন ধরেই এই সুমনবাবুর প্রতি একটা প্রতিহিংসা কাজ করছিল প্রশাসনের বলে অভিযোগ একাংশের। আর গতকাল সকাল থেকেই তার বাড়িতে পুলিশ দিয়ে তল্লাশি চালানো এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, গতকাল এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া আনতে গিয়ে যেভাবে প্রশাসন দিয়ে দমন পীড়নের কাজ চলছে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং যেভাবে এই প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষককে আটক করা হয়েছিল, তা নিয়েই সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, গতকালই সকালে খবর আসে যে, সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে পুলিশ ভোরে পৌঁছে গিয়েছে এবং তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আর তখন থেকেই একটা আশঙ্কা কাজ করছিল যে, পুলিশ চেষ্টা করছে, এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই সুমন বিশ্বাসের কন্ঠরোধ করতে। পরবর্তীতে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে আরও একটি খবর আসে যে, সুমন বিশ্বাসকে পুলিশ আটক করে নিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, পুলিশের কি একটাই কাজ, যারা প্রতিবাদ করবে, যারা এই সরকারের অত্যাচার, অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তাদের কণ্ঠরোধ করা? সুমন বিশ্বাসরা তো মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। তাই তারা আবার কেন পরীক্ষা দেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই তারা এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তাকে এইভাবে গ্রেপ্তার করে কি প্রতিবাদীদের ভয় দেখাতে চাইছে এই রাজ্যের প্রশাসন? আর সেই ব্যাপারে বলতে গিয়েই রাজ্যে কার্যত এমার্জেন্সি চলছে বলেই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখানে এমার্জেন্সি না বললেও কার্যত এমার্জেন্সি। গতকাল ভোর রাত থেকে সুমনের বাড়িতে অত্যাচার চলছে। মগরাহাট থানায় তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট এর আগেই তাকে প্রোটেকশন দিয়ে রেখেছিল যে, তদন্তের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে কিন্তু তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। এইভাবে অগণতান্ত্রিকভাবে করছেন। এর ফল খারাপ হবে।”