প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় তিন বছরের বেশি সময় জেলে থাকতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। আর শ্রীঘর থেকে মুক্ত হওয়ার পরেই কি আইনকে তোয়াক্কাই করছেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? নিজেকে কি ভাবতে শুরু করেছেন তিনি? এই প্রশ্নটা উঠছে, এর কারন, গতকাল সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি হাজিরা না দেওয়ার কারণেই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারপতি। যার ফলে পার্থবাবুর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালতের নির্দেশ না মানলে যে আবার জেলের মুখ দেখতে হতে পারে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেলেও তাকে জামিন দেওয়ার সময় বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যেখানে প্রয়োজন হলে সশরীরে তাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আর গতকাল সেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। কিন্তু তিনি সেখানে সশরীয় উপস্থিত হননি। আর তার ফলেই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি। যেখানে তিনি বলেন, “উচ্চ আদালতে জামিন পেলেও প্রত্যেককে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। না হলে জামিন বাতিলের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে নিম্ন আদালতের।” শুধু তাই নয়, পচা শামুকে আশা করি পা কাটবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত বছর জেল খেটে আসার পরেও নিজেকে এখন নির্দোষ দাবি করতে শুরু করেছেন। এমন কিছু কথা তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, যা শুনে অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, একেই হয়ত বলে, চোরের মায়ের বড় গলা। কিন্তু আদালতের জামিন পেলেও বেশকিছু নির্দেশ মানতে হয়। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই কি আবার বাদরামো শুরু করে দিলেন? নিজেকে কি সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করেছেন তিনি? তবে এর ফল যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, আবার যে তাকে জেলের মুখ দেখতে হতে পারে, তা আদালতের নিয়ম ভঙ্গ করে গতকাল যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে হাজিরা দেননি, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।