প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ মহলে যে একটা মরচে পড়ে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে পুলিশ যে তার কাজ করতে ভুলে গেছে, শুধুমাত্র বিরোধীদের মিথ্যে মামলা দেওয়া ছাড়া এবং টাকা তোলা ছাড়া যে পুলিশের আজকে আর কোনো কাজ নেই, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন তথ্য জনতার সামনে এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যের পুলিশকে যে আর কেউ ভরসা করে না, এককালে যে পুলিশ মানুষের সহায় সম্বলের একমাত্র বিপদের পরিত্রাতা ছিল, সেই পুলিশের প্রতি যে মানুষের আর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই, তা এই রাজ্যের বুকে একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপরাধীদের ধরার বদলে সেই অপরাধীদের প্রশ্রয় দিতে গিয়ে তাদের ভয়ে অনেক জায়গাতে পুলিশকে টেবিলের তলায় পর্যন্ত লুকিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আর যারা এই রাজ্যের সঠিক প্রতিবাদী, যারা শাসকের চোখে চোখ রেখে কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পুলিশের চেষ্টার অভাব নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে। তবে এবার যে দৃশ্য সামনে এলো, যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এত সাহস আছে কোথা থেকে? সমস্ত সীমা কি করে লংঘন করছে এই রাজ্যের পুলিশ?

আগে জেনে নেওয়া যাক, কি ঘটনা ঘটেছে? আজ কিছুক্ষণ আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যে ভিডিও দেখে অনেকেই শিউরে উঠছেন। অনেকেই বলছেন, এটা একটা পুলিশকর্তার ব্যবহার হতে পারে? ভিডিওতে কি রয়েছে? ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, একজন পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তি স্কুলের ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলছেন। এমনকি তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছেন। ভিডিওতে এটাও দেখা যাচ্ছে যে, সেই পুলিশের আধিকারিক ছাত্রীদের ক্রমাগত ঘুষি মেরেই চলেছেন। শুভেন্দুবাবুর পোস্ট করা সেই ভিডিও এবং কি ঘটনা ঘটেছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা গেল যে, রাজারহাট আন্নাকালী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীদের স্কুলের পরিকাঠামো নিয়ে অনেক অভিযোগ ছিল। ইতিমধ্যেই তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে মিড ডে মিল না দেওয়া, এমনকি অভিভাবকদের সঙ্গেও স্কুল কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই ঘটনার প্রতিবাদ করার কারণেই কি একজন পুলিশকর্তা এইভাবে ছাত্রীদের ওপর হাত তুললেন? সত্যিই কি এমনটা একজন পুলিশ করতে পারে?

শুভেন্দু অধিকারী যে ভিডিও পোস্ট করেছেন, সেখানে তিনি লিখেছেন, “রাজারহাট থানার আইসি জোনাকি বাগচী শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করে রাজারহাট আন্নাকালী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলছেন। রীতিমতো ঘুষি মারছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ১৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দিয়েছেন। রাজ্যে প্রায় সাড়ে আট হাজারের ওপর সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে কয়টি চালু আছে, তার অবস্থা এত খারাপ যে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদেরও বাধ্য হয়ে এই পকেটের খরচ করে প্রাইভেট স্কুলে পড়তে হচ্ছে। তারপর এই অরাজকতা শুধুমাত্র স্কুলের বাংলা শিক্ষক দীর্ঘ আট মাস ধরে স্কুলে কেন আসেন না, তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য। এই গুন্ডা আইসির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হয়, সেই ব্যাপারে নজর রাখছি।”