প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন বড় বড় গলায় বাংলা ও বাঙ্গালীদের ওপর বিজেপি হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করছে। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যে সেই হেনস্থার অভিযোগ তুলে নিজের রাজ্যে বাংলা ও বাঙালির মন পেতে তিনি বাঙালি অস্মিতা নিয়ে পথে নামছেন। দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা প্রেমী রাজনৈতিক দল এবং বিজেপি বাংলা বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই দাবি তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন, ঠিক তখনই তার দলেরই ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হলো এবং সেখানে যে দৃশ্য দেখা গেল, তাতেই প্রশ্ন উঠছে যে, রবী ঠাকুরের ছবি পুড়িয়ে কোন সংস্কৃতির বাংলা তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল?

সূত্রের খবর, গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মালদহের চাঁচল কলেজের সভাপতি এবি সোয়েলের নেতৃত্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি হচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি পুড়িয়ে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু এত পর্যন্ত মেনে নেওয়া গেলেও সেই ভিডিওতেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পর্যন্ত আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও পোস্ট করে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মত নেতারা।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের এটাই তো বঙ্গপ্রেম! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে যতই বলুক, বাংলা ও বাঙালিদের জন্য তৃণমূল লড়াই করছে! কিন্তু তৃণমূলের রুচিবোধ দেখেই স্পষ্ট যে, এরা কতটা বাংলা বিরোধী! যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পুড়িয়ে দিতে দুবার ভাবে না, তাদের কাছ থেকে বঙ্গপ্রেম শেখার মত রুচিবোধ কারওর নেই। তৃণমূলের ছাত্র নেতার এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার যে, তৃণমূল বাংলার সংস্কৃতিকে হত্যা করতে চাইছে। সংস্কৃতির বাংলায় তৃণমূলের এই রুচিহীন অসভ্যতার বিরুদ্ধে আগামী দিনে মানুষ গর্জে উঠবে এবং তৃণমূলকে সমুচিত জবাব দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।