প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে নারী নিরাপত্তা বলতে আর কিছু নেই। মহিলারা যে কোথাও নিরাপদ নন, এমনকি নিজেদের কর্মক্ষেত্র, নিজেদের শিক্ষা জগতেও যে তারা নিরাপত্তার সহকারে কাজ করতে পারছেন না, তা একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে ঘটেছিল আরজিকরের মত নৃশংস ঘটনা। তারপর কিছুদিন আগে সরকারি হাসপাতালে পাঁশকুড়ায় আরও এক মহিলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার ফের আরজিকর কান্ডের ছায়া উঠে এলো এই রাজ্যে। যেখানে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যেখানে আবারও স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে যে, আরজিকরের ঘটনার পরেও এই রাজ্যে মহিলাদের নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়নি। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের মহিলারা এখনও নিরাপদ নন। জানা গিয়েছে যে, দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যেখানে গতকাল সন্ধ্যায় সেই পড়ুয়া এবং তার আরও এক বান্ধবী মিলে বাইরে খাবার আনতে যায়। আর সেই সময় পথ আটকায় ২-৩ জন ব্যক্তি। পরবর্তীতে সেই পড়ুয়ার ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং তারপর তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, যে চিকিৎসক পড়ুয়ার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তিনি ওড়িশার বাসিন্দা। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার মাটিতে বারবার করে কেন এইভাবে মহিলাদের ইজ্জত নিয়ে খেলা হচ্ছে, কোথায় নারী নিরাপত্তা, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের প্রশাসন মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ। সামাজিক ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে মা-বোনেদের সম্ভ্রম নিয়ে প্রতি মুহূর্তে ছিনিমিনি খেলছে তারা। আর প্রশাসনের উদাসীন মনোভাবের ফলে বাইরের রাজ্য থেকে এখানে পড়তে আসা পড়ুয়ারাও নিরাপদ নন। অবিলম্বে এই ঘটনার কিনারা করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটলো, কোথায় গাফিলতি ছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।